Narrow selection

​​​​​​​ইজ্জত রক্ষার অধিকার - Right to protection of dignity


00:47:23 12/04/2023

ইজ্জত রক্ষার অধিকার

প্রতিটি মানুষের ইজ্জত পবিত্র, অন্যায়ভাবে তোমরা কারো ইজ্জতকে নষ্ট করতে পারবেনা ।" কোরআনে কারীমের মধ্যে আল্লাহ বলেছেন-

لا يستسخر قوم من قوم

কোন জাতি অন্য জাতিকে, কোন মানুষ অন্য মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে পারবেনা। তার ইজ্জতকে নষ্ট করতে পারবেনা। কোন মানুষ যদি অন্যায়ভাবে অপর মানুষের ইজ্জতকে নষ্ট করার চক্রান্ত করে, অপবাদ দেয় ইসলাম তাকে কঠোরভাবে শাস্তি দিবে। উদাহরণ স্বরূপ, কেউ অভিযোগ তুলল যে, অমুক মহিলার সাথে অমুক লোক অন্যায় কাজ করেছে। শরীয়ত অনুযায়ী আদালতে প্রমাণ করার মতো স্বাক্ষী তার নেই, অথচ সমাজে সে কথাটি বলে বেড়ায়। ইসলামের দৃষ্টিতে এটা জঘন্য অপরাধ । 

এই ধরনের যারা বলবে তাদেরকে বলা হবে তোমরা চার জন সাক্ষি পেশ করো, সাক্ষি পেশ করতে যদি না পারে তাহলে তাকে আশি দোররা (বেত) দেয়া হবে। ইসলামের আইন অনুযায়ী, ইসলামের দণ্ড বিধি অনুযায়ী সে লোক যে অন্যের বিরুদ্ধে অপবাদ দিয়েছে তাকে আশি দোররা দেয়া হবে। কারণ এই লোক আরেকজনের ইজ্জতের উপর আঘাত করেছে, তার কাছে যথাযথ প্রমাণ নেই । এই লোকের সাক্ষি আদালতের মধ্যে আর কখনো গ্রহণ যোগ্য হবেনা ।

ولا تقبلو لهم شهادة ابدا

কোরআনের ঘোষণা এই লোক যেহেতু আরেকজন মুসলমানের বিরুদ্ধে অপবাদ পেশ করেছে এবং কোন দলিল সে পেশ করতে পারেনি তাকে আশি বেত দাও এবং তার সাক্ষি আর কখনো তোমরা গ্রহণ করতে পারবেনা । প্রশ্ন জাগে, কেউ যদি একা দেখে যে, দু'জন লোক অন্যায় কাজ করেছে। চার জনের সাক্ষি সে জোগাড় করতে পারেনি, তাহলে সে কি করবে? ইসলামের দৃষ্টিতে এই কথা প্রচার করার অধিকার তার নেই । জেনা, ব্যভিচারের শাস্তি দেওয়ার জন্য অন্তত পক্ষে চার জন মানুষ সে অবস্থা স্বচক্ষে দেখতে হবে। অর্থাৎ প্রকাশ্যে জেনা যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে ইসলামের এই শাস্তি প্রয়োগ হবে। 

গোপনে যদি কেউ করে এবং আমি যদি সাক্ষি পেশ করতে না পারি তাহলে জেনাকারী শাস্তি পাবেনা। কারণ একজন ব্যক্তির স্বাক্ষ্য যদি ইসলাম গ্রহণ করা শুরু করে তাহলে দেখা যাবে যে, শত্রুতার কারণে একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়া শুরু করবে। ইজ্জতের উপর আঘাত করবে। আমার সাথে তার বনিবনা নেই বলে আমি তার বিরুদ্ধে একটি অপবাদ ছড়িয়ে দেবো । ইসলাম চায় যে, জেনাকারীর শাস্তি হোক বা না হোক তবে নিরপরাধ কোন মানুষ যেন শাস্তি পেয়ে না যায়। 

তার ইজ্জত যেন নষ্ট না হয়। ইসলামের আইন অনুযায়ী অপরাধী মানুষ যদি খালাস পেয়েও যায়, তাঁতে তেমন কিছু আসে যায় না, কিন্তু কোন এক নিরপরাধ ব্যক্তি যেন অপরাধের শাস্তি ভোগ না করে। এ জন্য ইসলামে সাক্ষীর আইন অত্যন্ত কড়া। কোন অপরাধী অপরাধ করেছে তার শাস্তি সে পায়নি সেটা মানা যায়। কিন্তু একজন লোক কোন অপরাধ করেনি তাঁকে হয়রানি মূলকভাবে কোন মামলায় আটকে দিয়ে তাঁকে শাস্তি দেয়া হোক তা ইসলাম মানেনা, গ্রহণ করেনা ।

ইসলাম জান-মালের হেফাজতের অধিকার দান করেছেন । ইসলামই সর্ব প্রথম মা-বাবার অধিকার সন্তানের প্রতি, সন্তানের অধিকার মা-বাবার প্রতি, স্বামীর অধিকার স্ত্রীর প্রতি, স্ত্রীর অধিকার স্বামীর প্রতি, প্রতিবেশীর অধিকার প্রতিবেশীর প্রতি, আত্মীয় স্বজনের অধিকার আত্মীয় স্বজনের প্রতি স্পষ্ট ভাষায় কোরআন এবং সুন্নাহর মাধ্যমে ঘোষণা করেছে ।


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color