ইবাদত ও শরীআতের বিভিন্ন প্রকার - Shariater biVinno ahkam
03:43:57 06/15/2024
ইবাদত ও শরীআতের বিভিন্ন প্রকার আহকাম সম্বন্ধে আকীদা
নামায,রোযা ,হজ্জ ,যাকাত যেমন শরী‘আতের ফরয ,তেমনি
মু‘আমালাত তথা লেন-দেন কায় –কারবার ,আয়-উপার্জন ইত্যাদিও শরী‘আতের নিয়ম মত পরিচালিত করা ফরয। ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা এই পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ,সবল থেকে দূর্বলের অধিকার আদায়, ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্ত রক্ষা ,ইসলামী হুদূদ প্রতিষ্ঠা ,ইসলামী জিহাদ পরিচালনা প্রভৃতি প্রয়োজনে ইমাম/খলীফা মনোনীত করা ওয়াজিব।
হযরত মাওলানা আনওয়ার শাহ কাশমীরী (রহঃ) ,শায়খুল হিন্দ (রহঃ) হাবীবুর রহমান উছমানী (রহঃ) প্রমুখ উলামায়ে কেরামের মতে সরকারীও রাজনৈতিক ভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত আমীর না হলেও নিজেরা একজন আমীর মনোনীত করে নিবে,যার দ্বারা মাযহাবী ও ধর্মীয় প্রয়োজন নিস্পন্ন করা যায়।
ইবাদত ও মু‘আমালাতের ন্যায় মু‘আশারাত তথা পারস্পরিক আচার আচরণ ও সমাজ সামাজিকতা দোরস্ত করা এবং আদব-কায়দা ও শিষ্ঠাচার রক্ষা করাও ফরয।
নামায,রোযা প্রভৃতি শরী‘আতের জাহেরী বিধানের উপর আমল করা যেমন জরুরী,তদ্রুপ এখলাস তাকওয়া, সরব,শোকর প্রভৃতি কলবের গুনাবলী অর্জন এবং রিয়া,তাকাব্বুর প্রভৃতি অন্তরের ব্যাধি দূর করা তথা শরী‘আতের বাতেনী বিধানাবলীর উপর আমল করাও ওয়াজিব। এই বাতেনী বিধানাবলীর উপর আমল করাকে বলা হয় তাযকিয়ায়ে নফস বা আত্নশুদ্ধি । আত্নশদ্বির এই সাধনাকে বলা হয় আধ্যাত্নিক সাধনা। আর এই শাস্ত্রকে বলা হয় তাসাওউফ বা সূফীবাদ।
কুরআন-হাদীছে তাসাওউফ শব্দটি উল্লেখিত হয়নি। তবে ইহসান শব্দটি প্রসিদ্ধ হাদীছে জিব্রীল এসেছে। তাসাওউফ-এর মামূলাত এই ইহসান-এর মাকাম অর্জনের উদ্দেশ্যেই পালন করা হয়। অতএব এটাও কুরআন-হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত বলতে হবে। বস্তুত ইহসান হল ফযীলতের স্তর। আর তাসাওউফ এই ফযীলতের স্তর অর্জন করার ওসীলা বা মাধ্যম। অতএব ইহসানের ন্যায় তাসাওউফ অর্জন করাও কাম্য।
তাসাওউফ –এর সমালোচনাকারীগণ মহা ভুলে নিপতিত। আকেল বালেগ বান্দা কখনও এমন স্তরে উন্নিত হয় না যে , তার থেকে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ তথা শরী‘আতের বিধি-বিধান রহিত হয়ে যায়। কারণ, আল্লাহর বিধি-বিধান সংক্রান্ত আদেশ নিষেধ শর্তহীনভাবে এসেছে এবং এ বিধি-বিধান কখনও রহিত না হওয়ার ব্যাপারে আইম্মায়ে মুজতাহিদীনের ইজমা‘সংঘটিত হয়েছে।