Narrow selection

মহানবী সা.কে লোভ দেখানো এবং নবীজির উত্তর


05:34:11 01/06/2025

মহানবী সা.কে লোভ দেখানো এবং নবীজির উত্তর

যখন কুরাইশ কাফেররা দেখতে পেল যে, ফলপ্রসু হচ্ছে না, তখন সকলেই পরামর্শ করে এই সিদ্ধান্ত নিল যে, তারা তাদের সবচে চালাক নেতা উতবা ইবনে রবীয়াকে মহানবী সা. এর কাছে প্রেরণ করবে, যাতে সে তাঁকে সব ধরনের পার্থিব লোভ দেখায়। হতে পারে এই তদ্বীর দ্বারা মহানবী সা. নিজ দাবী থেকে নীরব হয়ে বসবেন। 

 

উতবা ইবনে রবীয়া মহানবী সা. এর খেদমতে উপস্থিত হল। মহানবী সা. মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন। নিকটে গিয়ে বলল, ভাতিজা, তুমি আভিজাত্য ও বংশ মর্যাদায় আমাদের সবার থেকে উত্তম। ইহা সত্ত্বেও তুমি নিজের সম্প্রদায়ের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করছ। তাদের ও তাদের উপাস্যদেরকে ভালমন্দ বলছ, তাদেরকে এবং তাদের বাপ-দাদাদেরকে মূর্খ বলছ। আজ তুমি তোমার মনের কথা বল। যদি এসব ঘটনা দ্বারা তোমার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে অনেক সম্পদ জমা করা তাহলে শোন, আমরা তোমার জন্য এ পরিমাণ মাল জমা করে দিতে প্রস্তুত যে, তুমি মক্কাবাসীদের মাঝে সবচেয়ে বেশী ধনী হয়ে যাবে। 

 

আর যদি এটা চাও যে, তোমার নেতৃত্ব অর্জিত হোক তাহলে আমরা ইহার উপর রাজি আছি যে, সকল কুরাইশের নেতা বানিয়ে দিব তোমার আদেশ ছাড়া একটি কণাও নড়বে না। আর যদি তোমার উদ্দেশ্য বাদশাহী হয় তাহলে আমরা তোমাকে আমাদের সকলের বাদশাহ বানাতে পারব। আর যদি তোমার উপর (আল্লাহ পানাহ) কোন জ্বিন ভূতের আছর থেকে থাকে এবং এটা তারই কথা (ওহী) যা তুমি লোকদেরকে শ্রবণ করাচ্ছ। আর তুমি তা দূর করতে অক্ষম তাহলে আমরা তোমার জন্য কোন ডাক্তার তালাশ করব, যিনি তোমার চিকিৎসা করবে।  [সীরাতে মুগলতাঈ পৃঃ২০]

 

যখন উতবা নিজ কথা থেকে অবসর হল তখন নবী কারীম সা. তার সকল কাহিনীর উত্তরে শুধু কুরআনে কারীমের একটি সূরা শুনালেন। যা শ্রবণ করে উতবা হতভম্ব হয়ে গেল। স্বীয় গোত্রের কাছে ফিরে গিয়ে বলতে লাগল আল্লাহর শপথ, আজ আমি এমন বাণী শ্রবণ করেছি, যা এর পূর্বে সারা জীবনে কোন দিন শ্রবণ করিনি। আল্লাহর কসম, না তা কবিতা, না কোন জোতিষীর কথা, না কোন জাদু। আমার অভিমত এই যে, তোমরা সকলেই এই ব্যক্তির (মহানবী সা.) কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাক। কেননা, তার যে বাণী আমি শ্রবণ করেছি, আল্লাহর শপথ, তার মহান মর্যাদা প্রকাশ পাবেই। আমি তোমাদের কল্যাণকামী। তোমরা আমার কথা মান। আর বেশী দেরী নয়, কিছু দিন অপেক্ষা কর। যদি আরববাসীরা তাঁর উপর বিজয় লাভ করে তাহলে তোমরা বিনা মূল্যে তাঁর আপদ থেকে মুক্তি পেলে। আর যদি সে আরবদের উপর বিজয় লাভ করে তাহলে তার সম্মান আমাদেরই সম্মান। কেননা, সে তো আমাদেরই গোত্রের।

 

কুরাইশরা তাদের সবচেয়ে বিচক্ষণ নেতার কথা শ্রবণ করে হতভম্ব হয়ে গেল এবং একথা বলে হাফ ছেড়ে বাঁচল যে, তার উপর মুহাম্মদ সা. জাদু করেছে।

যখন কুরাইশদের কোন কলা-কৌশল কাজে আসছে না এখন নবী কারীম সা. এর সাথে তাঁর সাহাবায়ে কেরাম, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ ও আত্মীয়দেরকে কষ্ট দেয়া এবং বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দেয়া শুরু করল। হযরত বেলাল ও অন্যান্য সাহাবীদেরকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হল। হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির রা. এর সম্মানিত জননী সুমাইয়া রা. কে এই কারণেই অত্যন্ত বেদনাদায়ক পদ্ধতিতে শহীদ করে দেওয়া হয়েছে । এটা শাহাদাতের সর্বপ্রথম ঘটনা, যা ইসলামে ঘটেছে। [ সীরাতে মুগলতাঈ পৃঃ২০]

 

সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন

নবী রাসুলগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন?

সাহাবাগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color