Narrow selection

তাবলীগ বিরোধীরা কালেমা বিরোধী - Tabig Birudhi


01:56:11 12/04/2023

তাবলীগ বিরোধীরা কালেমা বিরোধী : তাবলীগ বিরোধীরা খোড়া যুক্তি ও শয়তানী দলীল-প্রমাণ দাড় করিয়ে বলতে চায় এই তাবলীগ সেই তাবলীগ নয় । ইলিয়াসী তাবলীগ নবী (সা:) করেননি । আসলে ভন্ডের দলেরা যে বুঝে না তাও বুঝেনা । আরবীতে একে বলা হয় জেহলে মুরাক্কাব । হযরত মাও : ইলিয়াস (রহ.) নিজের মনগড়া কোন কিছু সংযোজন বা বিয়োজন করে ব্যক্তিগত তাবলীগের সূচনা করেননি। তিনিতো আল্লাহর নবীর হুবহু তাবলীগ, সাহাবা ও তাবেঈদের যে তাবলীগ এর কাজের গতি থেমে গিয়ে ছিল তা স্বপ্ন যোগে নবীর ইশারায় সম্পূর্ণ কুরআন হাদীসের আলোকেই বেগবান করেছেন মাত্র। যে তাবলীগের কাজ মুসলমানরা ছেড়ে দিয়ে জাহান্নামমুখী হতে চলছিল সেই জাহান্নামমুখী মানুষদের দিলের উপর ঘামঝরা মেহনত করে জান্নাতমুখী করেছেন মাত্র । বেনমাযী লোকদের নামাযী বানিয়েছেন । 

টাকা কামানোর সহজ উপায়

কালেমা জানে না যারা শুধু নিজেদেরকে নামে মাত্র মুসলমান দাবী করে আসছে, সঠিক করে কালেমাটুকু সহীহ করে পড়তে জানেনা । অর্থ, মর্ম, ফায়দা, লাভ ও এই কালেমা হাসিল করার তরীকা কি একেবারেই জানেনা, কিন্তু আল্লাহর কি মেহেরবাণী এক মাও : ইলিয়াস (রহ.) এর ইখলাস ও মেহনতের বাদৌলতে সারা পৃথিবীর মানুষ সহিহ ও শুদ্ধ ভাবে কালেমা শিখছে। কালেমার মর্ম অনুধাবন করে শয়তানকে পরাজিত করে সফলতার মনযিলে প্রবেশ করছে। নিজে কালেমা শিখে অপর ভাইদের নিকট কালেমার দাওয়াত দিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষদেকে কালেমামুখী করছে । তাই শয়তানের যেমনি মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তেমনি শয়তানের দোষর তাবলীগ বিরোধীদের গায়েও আগুন ধরে গিয়েছে। তাবলীগ বিরোধীরা তখন বেশি খুশি হয় যখন কোন মানুষ জাহান্নামে যাওয়ার কাজ করে । কেউ দাড়ি কাটলে তাবলীগ বিরোধীরা হৃষ্ট হয়না। কেউ যেনা করাল তাবলীগ বিরোধীরা অস্থির হয় না ।

কেউ বেদাত- শেরেক বা মাজার পূজা করলে ও ঈমানহারা হলে মনে ব্যথা পায় না; বরং আনন্দ বোধ করে। কিন্তু তাবলীগের নাম শুনলেই মাথা খারাপ হয়ে উম্মাদ ও মাতাল হয়ে যায়। সুতরাং বুঝা গেল তাবলীগ বিরোধীরা মূলতঃ ঈমান বিনষ্ট করার লক্ষ্যে কালেমার দাওয়াত বন্ধ করে কুফর-শেরেক ও বেদাতকেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।

যে সকল লোকেরা তাবলীগের বিরোধীতা করে তারা যে, কালেমা বিরোধী, সুন্নত বিরোধী, বেদাত প্রেমিক, শয়তানের দোষর, আল্লাহর পেয়ারা পয়গাম্বর মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ এর চির শত্রু তাতে বুদ্ধিমান লোকদের নিকট গোপন নয় । আমার এই সত্য কথা ও বড় হুংকারকে কেউ খণ্ডন করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ । যুগে যুগে আমার মত পূর্বসূরী মহান ও বিশ্ব-বিখ্যাত উলামাগণ যখনই মাজার পূজারী, কবর পূজারী, বেদাতী, পেটপুজারী ভণ্ডদেরকে দ্বীন ও শরীয়ত বিকৃত করতে দেখেছেন, তখনই তাদেরকে সত্যের দিকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ।

যখন তারা সত্যের আহবানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে বহস-মুনাজারা ও চ্যালেঞ্জের নামে লোকদের বিপদগামী করতে চেয়েছিল, তখন বিজ্ঞ আলেমরা বহস-মুনাজারায় বসতে চাইছেন ও মুনাজারার ডাক দিয়েছিলেন; কিন্তু কোন বীর বাহাদুর আদৌ এই সত্যকে চ্যালেঞ্জরূপে গ্রহণ করার সাহস দেখাতে পারে নি। দিবালকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে গেছে এ দেশের তথাকথিত পাগল ও মুরতাদ আঃ লতিফ সিদ্দিকী তাবলীগকে বেশি খারাপ মনে করে আবার নবীজির হজ্জ ও কাবা ঘর নিয়েও কুটুক্তি করেছে । 

দুঃখের ব্যাপার হলো তথাকথিত আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের নামধারী বেদাতীরা প্রতিবাদ তো দূরে কথা কোন বিবৃতিও দেয়নি । তারা প্রতিবাদ করবেই বা কেন? তারা তো সুন্নাত নামটি উচ্চারণে ব্যবহার করে মূলতঃ নবীর সকল আদর্শ বিপরীত কাজ এবং সমাজে বেদাতের সয়লাব করার জন্য । গেল ক'দিন আগে বেদাতীদের এক নেতা নূরুল ইসলাম ফারুকীকে কে বা কারা কুপিয়ে হত্যা করে। ইসলামে মানুষ হত্যা মহাপাপ । তাই আমিও এর নিন্দা জানাই। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো- বেদাতী নেতাকে হত্যা করার কারণে তারা এক দিন সকাল-সন্ধা হরতাল পালন করেছে।

কিন্তু কু-খ্যাত, কুলাঙ্গার, বিশ্ব বেহায়া ইহুদী-নাসারাদের এজেন্ট মুরতাদ আঃ লতীফ সিদ্দীকী জঘন্য ভাষায় নবীর কুটুক্তি করে বিশ্ব মুসলমানের হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত করল। কিন্তু নামধারী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, যারা নিজেদের নবীর আশেক বলে প্রচার করে- তারাতো নবীর ভালবাসায় একদিন হরতাল দিলনা? কোথায় দুশমনে রাসূল ভণ্ড দেওয়ানবাগী? আশেক রাসূল নাম ভাঙ্গিয়ে জমজমাট ব্যবসায়ী? নবীর ইজ্জতে আঘাত হানল প্রতিবাদ তো করল না? সুতরাং বুঝতে বাকী নেই যে, তাবলীগ বিরোধীরা নবীজীর দুশমন। এরা মূলতঃ সুন্নাতের শত্রু। এদের খপ্পর হতে ঈমান হেফাজত করা ফরয ।

১. নবীজী (সাঃ) দুনিয়াতে আগমন কেেছন তাবলীগ করার জন্য । সুতরাং যারা তাবলীগ করেন তারা নবীর দলের না তাবলীগ বিরোধীরা নবীর দলের?

২. নবীজী (সাঃ) সদা লোকদের কালেমার দাওয়াত দিয়ে বলেছেন-

say; তোমরা বল! লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু তবেই সফলকাম হবে) বর্তমানে হযরত ইলিয়াস রহ-এর এই তারতীব দেয়া তাবলীগ জামাতই নবীজীর হাদীসে আমল করে সদা লোকদেরকে কালেমার দাওয়াত দেয়ার জন্যই আল্লাহর দেওয়া জান ও মাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে মেহনত করছে। সুতরাং যারা তাবলীগ করে তারা নবীর সুন্নাত পালন কারী না যারা তাবলীগ বিরোধী তারা সুন্নাত পালনকারী?

৩. নবীজী (সাঃ) সদা মেসওয়াক করতেন । তাবলীগ জামাতের সাথীরা ব্রাশ

ছেড়ে মেসওয়াকের উপরগড় আমল করছেন। সুতরাং তাবলীগ যারা করে তারা নবী প্রেমিক না যারা মেসওয়াক এর মত সুন্নাত ছাড়ে তারা নবী প্রেমিক?

৪. আল্লাহর রাসূল (সা:) মসজিদে ইতিকাফের নিয়্যতে থাকতেন এবং তার সাহাবাদেরকে ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করতে বলতেন। ইসলামের শুরু অবস্থায় মসজিদের মধ্যেই সাহাবারা জড়ো হয়ে দ্বীন শেখতেন যেসকল সাহাবারা বাড়ী ঘর ছেড়ে দ্বীন শিখার নিয়তে মসজিদে অবস্থান করতেন তাদেরকে আহলে সুফফা নামে অবহিত করা হয়। বর্তমান তাবলীগ জামাততো সম্পূর্ণ সাহাবাদের অনুকরনে মসজিদে ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করে নিজে দ্বীন শিখে ও অন্যকে শিখায়।

সুতরাং যারা নবীর পুরো সুন্নতের অনুসরণ করে তারা হক পন্থি না তাবলীগের বিরোধীতা করে নবীর সুন্নতের ও সাহাবাদের আদর্শের প্রচার প্রতিহত করে দ্বীনি কাজে বাধা সৃষ্টি কারীরা হক? যেসকল তাবলীগ ভাইয়েরা বৃদ্ধ বয়সেও পরকালের শাস্তির ভয়ে কুরআন সহীহ করে, সূরা মাশক করে, নামায ঠিক করে, কালেমা সহীহ করে প্রতিটি কাজ আল্লাহর নবীর সুন্নাতও তরীকা অনুসারে কারার চেষ্টা করে তারা হকপন্থী না যারা নবীর (তরীকা মত চলে) না। সুন্নতের ধারে কাছেও নেই শুধু আছে চাপার জোড়ে সুন্নী দাবী করা । সৃষ্টিকারী তারা হক পন্থী?


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color