মহানবী সা. এর শেষ বাণী
মহানবী সা. এর শেষ বাণী
হযরত আয়েশা রা. বলেন, ঐ অসুস্থতার মধ্যে মহানবী সা. কখনো কখনো তাঁর চেহারা মুবারক থেকে চাদর সরিয়ে বলতেন, ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের উপর আল্লাহর লা'নত এজন্য এসেছে যে, তারা তাদের নবীদের কবরকে সেজদাগাহ বানিয়েছে। উদ্দেশ্য এই ছিল যে, মুসলমান যেন তা থেকে বেঁচে থাকে। [বুখারী পৃ:১০৫]
আহ মহানবী সা. জীবনের শেষ সময় যে বস্তু থেকে অধিক ভয় দেখিয়েছিলেন আজ মুসলমানরা তা ছাড়ল না। ওলী ও নেককারদের কবরকে সেজদাগাহ বানিয়ে নিয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ মিনহু)
সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. বলেন,মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসলে তিনি ছাদের দিকে দেখতেছিলেন এবং বলতেছিলেন- অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমি রফীকে আলাকে পছন্দ করি। কোন কোন বর্ণনাতে রয়েছে, জীবনের শেষ নিঃশ্বসের সময় তাঁর যবান মবারকে 'সালাত সালাত' জারি ছিল। যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়াজ শোনা গেল এ কালিমাগুলোই জারি ছিল। -খাসায়েসে কুবরা
মৃত্যুর খবর যখন সাহাবীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ল তখন কেমন যেন সকলের জ্ঞান উড়ে গেল। ফারুকে আজম এর ন্যায় সম্মানিত সাহাবীও অত্যাধিক শোকের কারণে মহানবী সা. এর মৃত্যুকে অস্বীকার করলেন। সিদ্দিকে আকবার রা. সে সময় তাশরীফ আনেন এবং একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন । তাতে লোকদেরকে ধৈর্যের শিক্ষা দিলেন এবং বললেন, যে ব্যক্তি মুহাম্মদ সা. এর ইবাদত করত সে শুনে নিক, তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদত করত, সে বুঝে নিক মহান আল্লাহ চিরঞ্জীব এবং নিয়ন্ত্রণকারী। আজও জীবিত। একথা শোনার পর সাহাবীদের জ্ঞান ফিরে আসল।
নবী রাসুলগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন?
সাহাবাগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন
তারপর যেহেতু খলীফা নিযুক্ত করা ছিল সর্বপ্রথম ও অগ্রণী কাজ। কেননা, অন্যান্য দ্বীনি ও পার্থিব বিষয়ে ত্রুটি, অভ্যন্তরীণ ও বহির্শত্রুদের আক্রমণের আশঙ্কা ছাড়াও মহানবী সা.এর কাফন দাফনের ব্যাপারেও ঝগড়া ও মতানৈক্যের মারাত্মক আশঙ্কা ছিল। এজন্য, সাহাবায়ে কিরাম মহানবী সা. এর কাফন-দাফনের পূর্বেই খলীফা নিযুক্ত করা আবশ্যক মনে করলেন। এ বিষয়টির সিদ্ধান্ত হতে বেশ কিছু সময় লেগে যায়। একারণে সোমবারের অবশিষ্ট দিবস থেকে নিয়ে বুধবার পর্যন্ত বিলম্ব হল। বুধবার রাতে হযরত আলী, আব্বাস রা. ও অন্যান্য সাহাবায়ে কিরাম মহানবী সা.কে গোসল ও কাফন দিলেন এবং জানাযার নামায পড়া হল।