Narrow selection

​​​​​​​শ্রেষ্ঠ উম্মত হওয়ার তাৎপর্য - The significance of best Ummah


01:21:16 12/04/2023

শ্রেষ্ঠ উম্মত হওয়ার তাৎপর্য

کنتم خير امة اخرجت للناس تأمرون بالمعروف وتنهون عن المنكر وتؤمنون بالله

তোমরা সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি। মানুষের মঙ্গলের জন্যই তোমাদিগকে বের করা হয়েছে । তোমাদের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ এই যে, তোমরা সৎকাজের আদেশ করে থাকো ও অসৎ কাজে বাধা প্রদান করে থাকো এবং আল্লাহর উপর ঈমান এনে থাকো ।

মুসলমান যে, সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি এবং সেরা উম্মত বহু হাদীসের দ্বারা উহা প্রমাণিত হয়েছে । কুরআন পাকেও বিভিন্ন আয়াতে উহার উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাদের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। উহা এই যে, আমরে বিল মা'রুফ নাহী আনিল মুনকার অর্থাৎ সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ । নাহী তাফসীর কারকগণ লিখেছেন যে, এই আয়াতে আমর বিল মা'রুফ, আনিল মুনকারকে ঈমানের পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ ঈমান সকল ইবাদতের মূল। তার একমাত্র কারণ এই যে, ঈমানের ব্যাপারে সকল উম্মতই সমমর্যাদা সম্পন্ন। 

বিশেষত্বের দরুন উম্মতে মুহাম্মাদীরা অন্যান্য উম্মত হতে শ্রেষ্ঠতর বলে সনদ পেয়েছে । তা হচ্ছে উক্ত আমরে বিল মা'রুফ ও নেহী আনিল মুনকার । অতএব ঈমানের পূর্বেই উহার উল্লেখ করা হয়েছে । যেহেতু ঈমান ব্যতীত কোন আমলই গ্রহণযোগ্য নয়, সেজন্য সাথে সাথেই শর্ত স্বরূপ ঈমানের বর্ণনা করা হয়েছে। তবে দাওয়াতের কাজ এই উম্মতের বৈশিষ্ট হওয়ার অর্থ এই যে, উক্ত কাজের জন্য বিশেষ এহতেমাম বা ব্যবস্থা। করতে হবে । 

শুধুমাত্র চলাফেরায় দুই একটা তাবলীগ করে দেওয়াই যথেষ্ট নয় । কারণ এইরূপ মোখতাছার তাবলীগ তো পূর্ববর্তী উম্মতগণের মধ্যেও প্রচলিত ছিল । তবে এই উম্মতের শ্রেষ্ঠত্ব বিশেষ গুরুত্ব সহকারে তাবলীগের কাজ করার দরুন সাব্যস্ত হয়েছে ।

বর্তমান তাবলীগিরা বিনা স্বার্থে মসজিদে অধিকাংশ সময় কুরআন-হাদীসের আলোকে নছীহত করে থাকেন। যার দরুন বহু মুসলমান দ্বীনের ব্যাপারে অনেক উপকারী হয় এবং পূর্ণ ঈমানদারে পরিনত হয়।

তাবলীগ অবহেলাকারীরা অভিশপ্ত

عن ابن مسعود (رض) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم او مادخل النقص علی بنی اسرائیل انه كان الرجل فيقول يا هذا اتق الله

অর্থ : : হুযূর (সা:) বলেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে সর্ব প্রথম অধঃপতন এইভাবে দেখা দেয় যে, এক বক্তি অন্য ব্যক্তির সাক্ষাতের সময় কোন অন্যায় কাজ করতে দেখলে তাকে বলত দেখ আল্লাহকে ভয় কর এবং অন্যায় কাজ হতে বিরত থাক । কিন্তু উহা না মানা সত্ত্বেও পূর্ব সম্পর্কের দরুন তাদের অবস্থা এই স্তরে পৌঁছল । তখন আল্লাহ পাক একের অন্তরকে অন্যের সাথে মিলিয়ে দিলেন । অর্থাৎ সকলেই গোমরাহ হয়ে গেলো। 

অতঃপর এর স্বপক্ষে কুরআন শরীফের আয়াত পাঠ করেন । তারপর হুযূর (সা:) খুব জোর দিয়ে বলেন, সৎকাজে আদেশ অসৎকাজে নিষেধ করতে থাক এবং জালেমকে তার জুলুম হতে ফিরাতে থাক। এবং তাকে সৎপথে টেনে আনার চেষ্টা করতে থাক । অন্য রেওয়ায়েতে আছে, হুযূর (সা:) হেলান দিয়ে বসে ছিলেন, হঠাৎ জোসের সাথে বসে কছম খেয়ে বললেন, তোমাদের কোন নিস্তার নেই, যে পর্যন্ত না জালেমকে জুলুম হতে বিরত রাখবে । (আবু দাউদ, তিরমিযী)

অন্য হাদীসে হুযূর (সা:) কছম খেয়ে বলেছেন তোমরা সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজ নিষেধ করতে থাক এবং অত্যাচারির অত্যাচার হতে ফিরিয়ে সৎ পথে টেনে আনতে থাক। নচেৎ জালেমদের মতো তোমাদের অন্তরকেও বিভ্রান্ত করে দেওয়া হবে এবং বনী ইসরাঈলের মতো তোমাদের উপরও আল্লাহর অভিশাপ নাযিল হবে। এর অন্যতম কারণ ইহাও যে, তারা পাপের কাজ হতে একে অপরকে বিরত রাখতো না ।

 


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color