Narrow selection

হাদীসের আলোকে আশুরার রোযা - ashura rija


12:42:09 12/03/2023

হাদীসের আলোকে আশুরার রোযা আশুরার রোযা সম্পর্কে নিম্নের হাদীস সমুহ

عن ابي هريرة قال: مر النبى صلى الله وسلم بأناس من اليهود قد صاموا يوم عاشوراء فقال: ما هذا من الصوم؟ قالو اهذا اليوم الذى نجى الله . موسی وبنی اسرائیل من الغرق وغرق فيه فر عون وهذا يوم استوت فيه السفينة على الجودی فصامه نوح و موسی شکر الله تعالى فقال النبي صلى الله عليه وسلم : انا احق بموسى واحق بصوم هذا اليوم فامر أصحابه بالصوم

হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, মহানবী (সাঃ) কিছু ইহুদীকে দেখলেন আশুরা দিবসে তারা রোযা পালন করেছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এটি কিসের রোযা? তারা বলল, এ দিন আল্লাহ মুসা (আঃ) ও বনী ইস্রাঈল সম্প্রদায়কে সমুদ্রে ডুবে মরার হাত হতে উদ্ধার করেছেন। ফেরাউনকে ডুবিয়ে মেরেছেন। আর এ দিন (জুদি) পর্বতে নুহ (আঃ) এর জাহাজ ভিড়েছিল। তাই নূহ ও মূসা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে এ দিনে রোযা পালন করেছিলেন । মহানবী (সাঃ) বললেন, আমি মূসার (আঃ) অনুসরনের বেশি উপযুক্ত এবং এ দিবসের রোযার বেশি হক্বদার । তিনি তাঁর সাহাবাদেরকে রোযা পালনের নির্দেশ দান করেন। (মুসনদে আহমদ)

عن أبي سلمة الأكوع انه قال : بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم رجلا من اسلم يوم عاشوراء فامره ان يوذن فى الناس من كان لم يصم فليصم ومن كان اكل فليتم صيامه الى الليل.

(আসলাম) গোত্রে এক লোককে মহানবী (সাঃ) এ সংবাদ ঘোষনার দায়িত্ব দিয়ে আশুরার দিন প্রেরণ করলেন যে, (যারা আজ রোযা রাখেনি তারা যেন রোযা রেখে নেয়। আর যারা ইতোমধ্যে খাওয়া-দাওয়া করেছে তারা যেন রাত পর্যন্ত পানাহার হতে বিরত থাকে।) (মুসলিম)

তবে আশুরার রোযাকে ইহুদীদের রোযা হতে পার্থক্য করার জন্যে তিনি বলেছেন-

عن ابن عباس قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صوموا يوم عاشوراء وخالفوا فيه ايهود، صوموا قبله يوما او بعده يوما.

তোমরা আশুরার দিন রোযা রাখ এবং ইহুদীদের থেকে ব্যতিক্রম কর।

আশুরার এক দিন পূর্বে বা একদিন পরেও রোযা রাখ।

মহানবী (সাঃ) আশা প্রকাশ করে বলেন-

لئن بقيت الى قابل لاصو من اليوم التاسع

আমি আগামী বছর বেঁচে থাকলে নবম দিনেও রোযা রাখব । (মুসলিম, আবু দাউদ)

আশুরার দিন রোযা রাখার ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সাঃ) বলেন-

عن ابي قتادة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صيام عاشوراء احتسب على الله ان يكفر السنة التي قبله

আশুরার দিনের রোযার ব্যাপারে আমি আল্লাহর নিকট আশাবাদী যে, তিনি এক বছর পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। (মসনদে আহমদ)

ইসলাম আল্লাহর একমাত্র মনোনীত দ্বীন-জীবন বিধান। মানুষ সৃষ্টির পর থেকে এ দ্বীনের প্রচলন। আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করে ফেরেস্তাদের তাঁকে সেজদা করতে বলা থেকে শুরু হয় দ্বীন হিসেবে ইসলামের যাত্রা। সমগ্র নবীকুল ছিলেন ইসলামের প্রচারক। মুসা (আঃ) যে দ্বীন প্রচার করে গেছেন তাও ছিল ইসলাম। যদিও তার পরে তার অনুগামীরা বিকৃত করে একে অন্য নাম দিয়েছে। সে দিন মুসা (আঃ) ও ফেরাউনের মাঝে যে দন্দ্ব ছিল তা ছিল সত্য ও অসত্যের দন্দ্ব। প্রতাপশালী, অনতিক্রম্য শক্তির অধিকারী ফেরাউন সেদিন ঘোষনা করেছিল: আমি তোমাদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপালক । মুসা (আঃ) ছিলেন পার্থিব শক্তিতে দুর্বল । সত্যের বাহক, শ্বাশত ইসলামের প্রচারক ।

মুসা (আঃ) কে সেদিন মহান আল্লাহ বিজয়ী করেছিলেন। এ বিজয় অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের, জুলুম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে ইনসাফ ও ন্যায়ের। বিজয় আল্লাহর দান । দানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা বান্দার জন্য কর্তব্য। এ জন্য সকল নবীকে বিশ্বাসী উম্মতে মুহাম্মদী এ দিনটিকে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ মনে করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ।

আমরা ফেরাউন ও নমরুদের পথ অনুসরণ না করে ইব্রাহীম ও মুসা (আঃ) এর পথ অনুসরণ করি । ইয়াজীদ ও সীমারের অনুসারী না হয়ে হযরত হুসাইনের অনুসারী হই । দেশের জন্য, মানুষের জন্য ও আল্লাহকে খুশি করার জন্য আমরা যেন হুসাইনী প্রীতিতে বলীয়ান হই।


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color