মহানবী সা. এর ইসরার উপর চাক্ষুস সাক্ষ্য
12:34:34 01/06/2025
মহানবী সা. এর ইসরার উপর চাক্ষুস সাক্ষ্য
যখন সকাল হল এবং এ খবর ছড়িয়ে পড়ল, তখন এক বিস্ময়কর জগতের সৃষ্টি হল। কেউ তালি বাজাচ্ছিল। কেউ বিস্ময়ে মাথার উপর হাত রাখতেছিল। কেউ ঠাট্টা করে হাসতেছিল। তারপর সকলেই পীরা করার উদ্দেশ্যে মহানবী সা. কে প্রশ্ন করা শুরু করল। জিজ্ঞেস করল: আচ্ছা বলুন তো বায়তুল মাকদিসের নির্মাণ এবং আকৃতি কেমন এবং পাহাড় থেকে কত দূরত্বে অবস্থিত? মহানবী সা. তার পূর্ণ চিত্র তুলে ধরলেন। এভাবে তারা বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে থাকল এবং মহানবী সা. উত্তর দিতে থাকলেন। তারা এখন এমন প্রশ্ন করতে শুরু করল যে, যা কেউ একবার দেখা সত্ত্বেও বলতে পারবে না। যেমন মসজিদের কয়টি দরজা, কয়টি ত্বাক ইত্যাদি ইত্যাদি।
বলাবাহুল্য এসব বস্তু কে গণনা করে থাকে? এজন্য মহানবী সা. সাংঘাতিক অস্থির হলেন। কিন্তু মুজেযা স্বরূপ মসজিদে আকসাকে তাঁর সামনে আনা হল । মহানবী সা. গণনা করে বর্ণনা করতে থাকেন। হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা. বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি আল্লাহর রাসূল। কুরাইশরা এখন তো সবাই নীরব হয়ে গেল এবং বলতে লাগল, অবস্থা ও আকৃতি ঠিক ঠাক বর্ণনা করেছে। অতঃপর হযরত সিদ্দিক রা. কে সম্বোধন করে বলতে লাগল, আপনি কি বিশ্বাস করেন, তিনি এক রাতে মসজিদে আকসা পর্যন্ত পৌঁছেছেন এবং ফিরে এসেছেন? হযরত আবু বকর রা. বললেন, আমি এর থেকেও আশ্চর্য বিষয়ে তাকে বিশ্বাস করি এবং ঈমান আনি।
সকাল -সন্ধ্যা সামান্য সময়ে মহানবী সা. এর নিকট আকাশ থেকে খবর পৌঁছে যায়। তাহলে এর মধ্যে কি সন্দেহ থাকতে পারে? এজন্য তার নাম সিদ্দিক রাখা হয়েছে।
(মুসলিম শরীফের হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, রাসূলুল্লাহ সা. আল্লাহ দেখেননি; বরং আল্লাহর সাথে ওহীর মাধ্যমে কথা হয়েছে।)
সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি
নবী রাসুলগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন?
সাহাবাগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন