নারীর চাকরীর অধিকার ও ক্ষতিকর দিক - narider chakir odhikar o islam
01:03:34 12/04/2023
নারীর চাকরীর অধিকার ও ক্ষতিকর দিক : ইসলাম কেন নারীকে বাইরে যেতে নিষেধ করেছে, তার কয়েকটি কারণ ইসলামী চিন্তাবিদগণ আলোচনা করেছেন। ব্যক্তি ক্ষতি, পারিবারিক ক্ষতি, সামাজিক ক্ষতি এবং রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক ক্ষতির কারণে নর-নারীকে এক যোগে কর্ম ক্ষেত্রে কাজ করতে ইসলাম নিষেধ করেছে। পারিবারিক ক্ষতি হল, একজন নারী যখন ঘর থেকে বের হয়ে যাবে সারাদিন অফিস-আদালতে ব্যস্ত থাকার কারণে তার সন্তানের লালন পালন যথাযথ হবেনা। যথাযথভাবে তাদেরকে গড়ে তোলা যাবেনা । তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ হবেনা। তাদের শিক্ষার ক্ষতি হবে ।
যারা ৮টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বাইরে অবস্থান করেন, সহজে লক্ষ করতে পারেন, তাদের সন্তানদের দেখার কেউ থাকেনা। বুয়ার মাধ্যমে তাদেরকে দেখাশুনা করা হয় । একজন মা যেই যত্নের সাথে লালন-পালন করবে একজন কাজের মেয়ে কখনো সেভাবে লালন-পালন করতে পারবেনা। এটি হল পারিবারিক ক্ষতি। অনেক পরিবারের কর্ত্রী বাইরে কাজ করার কারণে পর পুরুষের সাথে তার পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে । এসব কারণে শত শত পরিবার নষ্ট হয়েছে । স্বামী- স্ত্রীর ভাল বাসার পবিত্র সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে। এরকম হাজারো প্রমাণ আছে । আল্লাহপাক এ বিষয়গুলো জানেন বলে নর এবং নারীকে এক সাথে কাজ করার জন্য সুযোগ দান করেননি।
একজন রুচিশীর মানুষ কি করে তার স্ত্রী, মেয়ে এবং বোনকে এমডি'র পি এ করে দিতে পারে । শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে যেখানে সব সময় দরজা বন্ধ থাকে, সেখানে কি করে একজন পুরুষের সাথে কাজ করার জন্য বসিয়ে দিতে পারে। এটা প্রগতি নয় । এটা হল রুচিহীনতা। দু'টু পয়সার জন্য আমি এভাবে আমার স্ত্রী, মেয়ে কিংবা বোনকে ছেড়ে দিতে পারিনা । এজন্য ইসলাম নারীদেরকে বলে যে, তোমরা ঘরে অবস্থান কর । প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যেই জায়গায় বড় বড় পদে মহিলারা কাজ করে সেখানে মহিলারা দুর্বল হওয়ার কারণে অনেক সময় চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়ে। এজন্য ইসলাম প্রশাসনিক কাজে নারীদেরকে অপ্রয়োজনে নিয়োগ দেয়ার বিরোধিতা করে। আল্লাহ বলেন-
وقرن في بيونکن
“তোমরা তোমাদের ঘরে অবস্থান কর” ।
মিখাইল গর্বাচেভের অনুভূতি :
মিখাইল গর্বাচেভ সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট তার একটি বই রাশিয়ান ভাষায় লিখেছেন। বইটি ইংরেজী অনুবাদ হয়েছে, তার বইয়ের একটি অধ্যায় হল 'ষ্টেটাস অব ওম্যান'। এই অধ্যায়ে তিনি লিখেছেন, লেলিন এবং কালমার্কসের আদর্শের ভিত্তিতে রক্তাক্ত বিপ্লবের মাধ্যমে ১৯১৭ ইংরেজীতে পুরা রাশিয়া এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল । ১৯৯০ এর দিক তা ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায়। সত্তর বছরের সমাজতন্ত্রের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট, তার নাম হল মিখাইল গর্বাচেভ । তিনি তার বইতে বলেন আমরা অক্লান্ত বিপ্লবের মাধ্যমে নারীদেরকে ঘর থেকে বের করে পথে এনেছি, চেয়ারে বসিয়েছি, ফ্যাক্টরীতে কাজ করতে দিয়েছি। সর্বস্তরে আমরা নারীদেরকে কাজে ব্যবহার করছি। এতে আমাদের বস্তুগত কিছু লাভ হয়েছে। পুরুষ এবং নারী উভয়ে মিলে যখন কাজ করে লাভ বেশী হয়, কিন্তু তার চেয়েও আমরা বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি । আমাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কোমলতা ও প্রশান্তি নষ্ট হয়ে গেছে ।
এজন্য মিখাইল গর্বাচেভ বলেন- আমার জীবনের সর্বশেষ পর্যায়ে আমি দ্বিতীয় আরেকটি বিপ্লব সৃষ্টি করতে চাই। প্রথম বিপ্লবের মাধ্যমে পরিবার প্রথাকে নষ্ট করে মেয়েদেরকে ঘরের বাইরে নিয়ে এসেছি। এবার দ্বিতীয় বিপ্লব হবে তাদেরকে আমরা আবার ঘরের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে দিব। যাতে আমাদের পারিবারিক সুখ-শান্তি ফিরে আসে। মিখাইল গর্বাচেভ আল্লাহর এই আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান করার পরে শেষ পর্যায়ে বুঝতে পেরেছেন যে, না, আল্লাহর এই বিধান ছিল মানব কল্যাণকামী ।
প্রকৃতির এ বিধানের বিরুদ্ধে ঝুঁকে পড়লে পুরা জগতে নেমে আসবে অশান্তি, অসামঞ্জস্যতা ও অস্থিরতা ।