কুসংস্কার রসম বা ও কুপ্রথা সম্পর্কে আকিদা
03:36:40 06/15/2024
কতিপয় রসম বা কুসংস্কার ও কুপ্রথা
- বিবাহ শাদিতে হিন্দুদের রছম পালন করা যেমন ফুল –কুল দ্বারা বৌ বরণ করা,ভরা মজলিসে বউ –এর মুখ দেখানো, গীত গেয়ে নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে বর কনেকে গোসল দেয়া ইত্যাদি।
- মৃত ব্যক্তির ব্যবহৃত কাপড়-চোপড়কে কোষণীয় মনে করা।
- বিবাহ-শাদি, খতনা ইত্যাদিতে হাদিয়া উপঢৌকন দেয়া। এসব উপঢৌকন প্রদানের পশ্চাতে ভাল নিয়ত থাকে না বা খারাপ নিয়ত থাকে ,যেমন না দিলে অসম্মান হয়,দুর্নাম হয় বিধায় দেয়া হয় কিংবা অমুক অনুষ্ঠানে তারা দিয়েছিল তাই দিতে হয় ইত্যাদি উদ্দেশ্যে মানুষ দিয়ে থাকে।
- শবে বরাতে হালুয়া রুটি করা, পটকা ফুটানো,আতশবাজী করা।
- আগুরায় খিচুড়ি ও শরবত তৈরি এবং বন্টন করা।
- শবে বরাত ও শবে কদরে রাত্র জাগরণের জন্য ফরয ওয়াজিব থেকে বেশী গুরুত্ব সহকারে লোকদের সমবেত করার উদ্যোগ নেয়া।
- শাব্দিক অর্থে ঈদ মুবারক “ বলা খারাপ ছিল না ,কিন্তু এটা রছমে পরিণত হয়েছে বিধায় পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।
- ঈদগাহে বা মসজিদে যাওয়ার আগেই তাসবী বা জায়নামায দিয়ে স্থান দখল করে রাখা। মুয়াজ্জিনের জন্য জায়নামায দিয়ে স্থান নির্দিষ্ট করে রাখা।
- বিপদ আপদে যে কোন দান সদকা করলে বিপদ দুরিভূত হয়, কিন্তু গরু ছাগল মোরগ প্রভৃতি কোন প্রাণীই জবাই করতে হবে-যেমন বলাও হয় জানের বদলে জান-এটা একটা রছম। জানের বদলে জান হওয়া জরুরী নয় বরং যে কোন ছদকা হলেই তা বিপদ দুরীভূত হওয়ার সহায়ক।
- তারাবীহতে কুরআন খতম হওয়ার দিন মিষ্টি বিতরণ করা।
মাইয়্যেতের জন্য ঈছালে ছওয়াব করা দুআ করা শরী‘আত সম্মত বিষয় ,কিন্তু সেটা সম্মিলিত হয়েই করতে হবে এরুপ বাধ্যবাধকতার পেছনে পড়াও রছমে পরিণত হয়েছে।