Narrow selection

মহানবীর বিদায়ী ভাষণ


মহানবীর বিদায়ী ভাষণ

 

হে লোক সকল,  আমি জানতে পেরেছি,তোমরা তোমাদের নবীর মৃত্যুতে ভয় পাচ্ছ। আমার পূর্বে কি কোন নবী সর্বদা ছিলেন যে আমি থাকব। হ্যাঁ, আমি আমার প্রভুর সাথে সাক্ষাৎ করব। তোমরা আমার সাথে সাক্ষাৎ করবে। তোমাদের সাথে সাক্ষাতের স্থান হবে হাউযে কাওসার। সুতরাং,যে ব্যক্তি চাইবে যে,কিয়ামতের দিন সেই হাউয থেকে পরিতৃপ্ত সহকারে পান করবে সে যেন, নিজের হাত অনর্থক কাজ এবং জিহবাকে অনর্থক কথা থেকে বিরত রাখে। তোমাদেরকে মুহাজিরদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করতে উপদেশ দিচ্ছি। মুহাজিরদেরকে পরস্পর সুন্দর ব্যবহার এবং ঐক্যের উপদেশ করছি। (তিনি আরো ইরশাদ করলেন) যখন মানুষ আল্লাহর আনুগত্য করে তখন তাদের প্রশাসক ও বাদশাহ তাদের সাথে ইনসাফ করে। যখন তারা আল্লাহ তায়ালার অবাধ্য হয় তখন তারা তাদের সাথে নির্দয় ব্যবহার করে।

 

সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি

 

এরপর বাড়িতে ফিরলেন। মৃত্যুর তিন বা পাঁচ দিন পূর্বে আবার একবার বাহিরে আসেন। মাথা মুবারক বাঁধা ছিল । হযরত সিদ্দিকে আকবর নামায পড়াতেছিলেন। তিনি পেছনে সরতে লাগলেন। নবীজী পবিত্র হাতের ইশারায় নিষেধ করলেন, নিজে হযরত আবু বকর রা. এর বাম দিকে বসে পড়লেন। নামাজের পর একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিলেন। তাতে তিনি ইরশাদ করলেন:-

আবু বকর সবচেয়ে আমার উপকারকারী। যদি আমি আল্লাহ তায়ালাকে ছাড়া কাউকে বন্ধু বানাতাম তাহলে আবু বকরকে বানাতাম। কিন্তু আল্লাহ ছাড়া বন্ধু হয় না। এজন্য আবু বকর আমার ভাই এবং দোস্ত। তিনি আরো ইরশাদ করলেন, মসজিদে যতটি দরজা আছে, আবু বকর এর দরজা ছাড়া সবগুলো বন্ধ করে দাও। -[সহীহ বুখারী পৃ:২৫৬]

মুহাদ্দিস ইবনে হিব্বান এই হাদীস বর্ণনা করার পর বলেন, এই হাদীসে স্পষ্ট নির্দেশ আছে, মহানবী সা. এর পর হযরত আবু বকর রা. খলীফা হবেন । [ফতহুল বারী পৃ:৩৫৬]

 

এরপর ২রা রবিউল আওয়াল সোমবার দিন লোকজন ফজরের নামায হযরত আবু বকর রা.এর পেছনে পড়ছিলেন, ইতিমধ্যে নবী কারীম সা. হযরত আয়েশা রা. এর কক্ষের পর্দা সরিয়ে লোকদেরকে দেখলেন এবং হাসলেন। সিদ্দিকে আকবর আবু বকর রা. ইহা দেখে পেছনে সরতে লাগলেন। আনন্দের কারণে সাহাবীদের মন নামাযে বিক্ষিপ্ত হয়ে গেল ।

 

নামাযের মাঝে তব চেহারা স্মরণ হয় মোর যবে

মেহরাব করে কথোপকথন এগিয়ে এসে মোর সনে।

 

মহানবী সা. তাঁকে হাতের মাধ্যমে এই বলে ইশারা করলেন যে, নামায পরিপূর্ণ কর। নিজে ভিতরে প্রবেশ করলেন এবং পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন। এরপর আর বাহিরে তাশরীফ আনেননি। তিনি সেই দিন জোহরের পর এই নশ্বর জগত থেকে বিদায় নিয়ে রফীকে আলার সাথে মিলিত হলেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সহীহ বুখারীর বর্ণনা অনুপাতে তখন মহানবী সা. এর বয়স হয়েছিল তেষট্টি ।

 

নবী রাসুলগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন?

সাহাবাগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল

 

No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color