গ্রিন টি এর উপকারিতা - Benefits of green tea
15:02:30 12/13/2023
গ্রীন টি এর উপকারিতা : খ্রিস্টপূর্ব ২৭২৩ সালে চীনের সম্রাট শেন নাং ক্যামেলিয়া সাইনেসিস নামক গাছ থেকে সর্বপ্রথম গ্রিন টি বা সবুজ চা আহরণ করেন। ক্যামেলিয়া সাইনেসিস এক ধরনের চিরসবুজ বৃক্ষ, উচ্চতায় ৩০ ফুটের মতো, পুরো বৃক্ষটি গাঢ় সবুজ পাতায় আচ্ছাদিত থাকে। উঁচু সবজু ঝোঁপের মতো দেখতে এই বৃক্ষটির পাতায় ফাঁকে ফাঁকে ফুটে থাকে ধবধবে সাদা ফুল।
সবুজ চা হচ্ছে ভিটামিন-সি-এর এক অনন্য উৎস। এ ছাড়াও সবুজ চায়ে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান, যার বেশিরভাগই হচ্ছে পলিফেনর। গ্রিন টি এর মধ্যে অবস্থিত প্রাইমারি পলিফেনলগুলো হচ্ছে ফ্ল্যাভোনয়েডস, ক্যাটিসিন এবং প্রোঅ্যানতোসায়ানিডিনস । গ্রিন টি অবশ্য প্রোটিন, ক্লোরোফিল, ট্যানিন, লিগনিন এবং অ্যামাইনো এসিড থিয়ানিনেরও উৎস।
গ্রিন টি-এর পলিফেনলগুলোর মধ্যে ফ্ল্যাবোনয়েডস নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে ফ্যাভোনয়েডস এর ভূমিকা সম্পর্কে বিশেষভাবে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে। গ্রিন টি-এর পলিফেনলগুলোর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার কোষ সৃষ্টিতে বাধা দেয়ার ক্ষমতা রাখে। এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে প্রাকৃতিক দূষণমুক্ত করার প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করার মাধ্যমে টিউমার কোষের বৃদ্ধিকে রহিত করে থাকে।
তবে সব ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধেই গ্রিন টি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না। গবেষকরা মনে করছেন, পরিপাকতন্ত্র, কোলন বা মলাশয়, ফুসফুস এবং ইস্ট্রোজেন সম্পর্কিত ক্যানসার প্রতিরোধেই সবুজ চা অধিকতর কার্যকর। এ ছাড়াও সবুজ চা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সবুজ চা খারাপ ধরনের কোলেস্টেরল এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসাইরাইড-এর মাত্রা কমায়। পাশাপাশি ভালো জাতের কোলেস্টেরল এইচডিএল এর মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সবারই কাম্য।