শব্দদূষণে কানের কী ধরনের সমস্যা হয়? - Ear problems due to noise pollution
14:54:19 12/13/2023
শব্দদূষণে কানের কী ধরনের সমস্যা হয়? শব্দের সাহায্যে মানুষ মনের ভাব আদান প্রদান করে। শব্দ এক ধরনের অনুভূতি আর শব্দ তরঙ্গ এক ধরনের শক্তি। শব্দের যথাচ্ছাচারের অপর নাম শব্দ দূষণ। যে কোনো ধরনের অস্বস্তিকর এবং অপ্রয়োজনীয় শব্দকে আমরা শব্দ দূষণ বলি। সভ্যতার সাথে সাথে আমরা শব্দ দূষণের শিকার হয়েছি।
শব্দ দূষণের প্রধান উৎস গাড়ির হর্ন, মাইকিং, মিছিল, অপরিকল্পিত নির্মাণ, শিল্প কারখানা, নির্মাণের আওয়াজ এবং মানুষ কর্তৃক সৃষ্ট নানা শব্দ ।
শব্দ দূষণের ফলে কানের শ্রবণ শক্তি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায়। শব্দ দূষণের ফলে আমাদের দেহে প্রতিটি অঙ্গপ্রতঙ্গ নানাভাবে আক্রান্ত হয়। উচ্চ শব্দের এলাকায় বসবাসকারীর রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং নিদ্রাহীনতায় ভুগতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী মায়ের সন্তানের ক্রমবিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া উচ্চ শব্দ হজমে ব্যাঘাত ঘটায়।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, উচ্চ শব্দের কারণে শরীরে ইপিনেফ্রিন ও নরইপিনেফ্রিন হরমোন বেশি নিঃসৃত হয় । এই হরমোন হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীর উপর প্রভাব ফেলে।
শব্দ দূষণযুক্ত এলাকাবাসীর মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং এরা প্রচুর এন্টাসিড ও ঘুমের ওষুধ গ্রহণ করে। অথচ শব্দ দূষণমুক্ত এলকার বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। উচ্চ শব্দের প্রভাবে মানুষের কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পায় এবং দৃষ্টিশক্তিরও ক্ষতি হতে পারে। শব্দ দূষণের ফলে কিশোর কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।
পরিবেশ সংরক্ষণ সমিতিগুলোর মতে আবাসিক এলাকায় দিনের বেলা ৪৫ ডেসিবেল এবং রাতের বেলা ৩৫ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দ স্বাস্থ্যসম্মত, আর দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় দিনে ৫০ ডেসিবেল ও রাতে ৪০ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দের মাত্রা নির্ধারিত কিন্তু বেশির ভাগ আবাসিক এলাকায় শব্দের মাত্রা ১০০ ডেসিবেলের উপরে। আর গাড়ির হর্ন ১৪০ ডেসিবেলের উপরে। তার অর্থ এই যে আমাদের আবাসিক এলাকাগুলোতে সব সময় আমরা শব্দদূষণের শিকার হচ্ছি। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন এবং আইন কঠোরভাবে মানা উচিত।
●হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জিহাদী জীবন