ইলমে ফিক্হ ও এর গুরুত্ব - Fiqh and its importance in Ilm
03:04:33 12/10/2023
ইলমে ফিক্হ ও এর গুরুত্ব : রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهُهُ فِي الدِّينِ
অর্থাৎ, আল্লাহ তা'আলা যার কল্যাণ কামনা করেন তাকে দীনের গভীর জ্ঞান দান করেন। অন্য হাদীসে আছে-
فَقِيهُ وَاحِدٌ أَشَدُّ عَلَى الشَّيْطَانِ مِنْ أَلْفِ عَابِدِ
অর্থাৎ, একজন ফকীহ শয়তানের নিকট সহস্র আবিদ অপেক্ষা কঠিনতর, (কারণ, আবিদের ইবাদত হয় অন্তদৃষ্টি ব্যতীত। ফলে তাকে গোমরাহ করা, বিভিন্ন রকমের সংশয়-সন্দেহে নিপতিত করা তার জন্য সহজ। কিন্তু একজন ফকীহের ইবাদত হয় অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন। অতএব, তাকে বিভ্রান্ত করা সহজ নয়।)
ইসলামের স্বর্ণযুগ এবং তাফারুহ ফিদ্দীন ঃ রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবায়ে কিরাম ছিলেন দুই প্রকার : একদল ছিলেন সর্বদা হাদীস মুখস্ত করা ও বর্ণনা করার কাজে রত। যেমন, আবু হুরায়রা (রাঃ), আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) প্রমূখ। আর একদল ছিলেন কুরআন হাদীসে গবেষণা করে শাখাগত মাসআলা-মাসায়িল উৎসারণ করার কাজে মশগুল। যেমন : হযরত আলী (রাঃ) ইবনে আব্বাস (রাঃ) প্রমুখ । তাবেঈনের যুগ : মদীনা তায়্যিবা রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিজরত স্থল এবং উলূমে নবুওয়্যাতের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।
এজন্য নববী যুগ থেকে নিয়ে হযরত আলী (রাঃ)-এর খিলাফতের প্রাথমিক যুগ পর্যন্ত গোটা ইসলামী বিশ্বের কেন্দ্রস্থল ছিল এটি। সাহাবীদের যুগে এখানে কুরআন ও সুন্নতের ইলম ছিল সবচেয়ে বেশী এবং তাবেঈনের যুগে সাত ফকীহ বলতে প্রসিদ্ধ যে ফুকাহা ছিলেন তারা ছিলেন এখানেই অবস্থানকারী। সেই সাত জন ফকীহ যতক্ষণ পর্যন্ত কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দিতেন ততক্ষণ পর্যন্ত বিচারক কোন রায় প্রদান করতেন না। মদীনার সেই সাতজন ফকীহের নাম নিম্নে প্রদত্ত হল-
সাত ফকীহ :
১. সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব (রহঃ)(ওফাত : ৯৪ হিঃ)।
২. উরওয়া ইবনে যুবাইর (রহঃ)(ওফাত : ৯৪ হিঃ)
৩. কাসিম ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর সিদ্দীক (রহঃ) (ওফাত : ১০৮ হিঃ)
৪. খারিজা ইবনে যায়দ ইবনে সাবিত (রহঃ) (ওফাত : ৯৯ হিঃ)
৫. উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উতবা ইবনে মাসউদ (রহঃ) (ওফাত : ১৮ হিঃ)
৬. সুলাইমান ইবনে ইসার (রহঃ) (ওফাত : ১০৯ হিঃ)
সপ্তম নম্বরে কে এ সম্পর্কে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ বলেছেন আবু সাল্লাম ইবনে আব্দুর রহমান (রাঃ)। কেউ বলেছেন সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ। কেউ বলেছেন আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান (রাঃ)।
ওফাত অর্থ কি?
ওফাত অর্থ ইন্তেকাল। নবী-রাসুল (স.) অথবা সম্মানিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ওফাত শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
●হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জিহাদী জীবন