Narrow selection

​​​​​​​হায়েয ও নেফাসের সময় কত দিন? - Hayj Nifas ki


02:54:58 12/10/2023

হায়েয ও নেফাসের সময় কত দিন?

উত্তর : হায়েযের সর্বনিম্ন সময় হল তিন দিন। আর সর্বোচ্চ সময় হল দশ দিন। নেফাসের সর্বোচ্চ সময় ৪০দিন। আর নিম্নের কোন সময় সীমা নেই। তবে উল্লেখিত মেয়াদের মধ্যে সাদা রং ব্যতীত অন্য যে কোন রং-এর রক্ত বের হোক না কেন তা হায়েয ও নেফাস বলে গণ্য হবে।

প্রশ্ন : হায়েয ও নেফাসের রক্তের রং কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর : সাধারণত এ ধরণের রক্তের রং ৪ প্রকার। যথা : লাল, কালো, হলুদ, মাটি।

প্রশ্ন : দুই হায়েযের মাঝখানে পবিত্র থাকার মেয়াদ কতদিন?

উত্তর : দুই হায়েযের মাঝে পবিত্র থাকার সময় সর্ব নিম্ন ১৫ দিন এবং উর্ধের কোন সীমা নেই।

প্রশ্ন : ইস্তেহাযা কাকে বলে?

উত্তর : হায়েযের মধ্যে তিন দিনের কম অথবা দশ দিনের বেশী এবং নেফাসের ক্ষেত্রে ৪০ দিনের বেশী যত দিন রক্ত দেখা যায় ঐ রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত বলে। ইস্তেহাযা নামায ও রোযার জন্য প্রতিবন্ধক নয়। বিঃ দ্রঃ যদি কোন মহিলার সাধারণ নিয়ম থেকে বেশী দিন হায়েয দেখা যায়, তাহলে দশ দিন পর্যন্ত তাকে ঋতুবর্তী ধরা হবে। আর যদি দশ দিন থেকে বেশী সময় পর্যন্ত রক্ত দেখা যায় তাহলে সাধারণ নিয়মের পরের সব কয়দিনকে ইস্তেহাযা বলে। আর যে মহিলার হায়েয প্রথম আরম্ভ হয়েছে তার যদি দশদিন থেকে বেশী সময় পর্যন্ত রক্ত দেখা যায় তাহলে ঐ দশ দিনের বেশী দিন গুলো ইস্তেহাযা।

প্রশ্ন :  হায়েয ও নেফাসের মধ্যে কিছু সময় পবিত্র থাকলে এর হুকুম কি?

উত্তর : হায়েয বা নেফাসের মুদ্দত বা সময়ের ভিতর কিছু সময় পবিত্র থাকলে তাও হায়েয বা নেফাস বলে গণ্য হবে।

প্রশ্ন : হায়েয ও নেফাসের হুকুম কি?

উত্তর : (ক) হায়েয ও নেফাসের হুকুম হল- এমতাবস্থায় নামায ও রোযা করা যাবে না। আর পবিত্র হওয়ার পর নামায কাযা করতে হবে না, কিন্তু রোযা কাযা করতে হবে।

(খ) হায়েয ও নেফাস অবস্থায় সঙ্গম করা হারাম। তবে ইস্তিহাযা এর পরিপন্থী।

(গ) দশদিন পূর্বে হায়েয বন্ধ হয়ে গেলে গোসল করার পূর্বে সঙ্গম করা জায়েয নয়। তবে হায়েয বন্ধ হওয়ার পর এক নামাযের সময় চলে গেলে গোসল ছাড়াই সঙ্গম করা বৈধ হবে।

(ঘ) দশ দিন পর হায়েয বন্ধ হলে ইমাম আজমের মতে গোসল ব্যতীত সঙ্গম করা বৈধ। তবে অন্যান্য ইমামগণের মতে গোসল করা ব্যতীত সঙ্গম করা বৈধ নয়।

প্রশ্ন : উজু বিহীন অবস্থায় গিলাফ ব্যতীত কুরআন শরীফ স্পর্শ করার হুকুম কি?

উত্তর : উজু বিহীন অবস্থায় গিলাফ বিহীন কুরআন মাজীদ স্পর্শ করা জায়েয নেই। তবে পাঠ করা জায়েয আছে। হায়েয, নেফাস ও জানাবাত (গোসল ফরয) অবস্থায় কুরআন শরীফ পাঠ করা জায়েয নয়। তাছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা কিংবা কা'বা শরীফের তওয়াফ করাও অবৈধ।

 

হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জিহাদী জীবন

 


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color