গরমে সুস্থ থাকার উপায় - Helth solution in
05:39:38 12/10/2023
গরমে সুস্থ থাকার উপায়
দুঃসহ গরমে যে কোনো মুহূর্তে যে কেউ পড়তে পারে অসুস্থতায়। আবহাওয়ার তাপমাত্রা বেড়ে যাবার সাথে সাথে মানবদেহের তাপমাত্রাও বেড়ে যেতে থাকে। তাই এ সময়ে কেউ যদি নিজের দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার কৌশল আয়ত্ত করতে পারেন তাহলেই সম্ভব অসুস্থতার হাত থেকে রেহাই পাওয়া। কিন্তু কীভাবে আয়ত্ত করবেন সেই কৌশল? কীভাবে দুঃসহ গরমে ঠাণ্ডা রাখবেন নিজেকে?
কমিয়ে আনুন শারীরিক পরিশ্রম
না, গরমে বেশি ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই। ব্যায়ামে বেড়ে যাবে শরীরের তাপমাত্রা। তবে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার জন্য যেটুকু ব্যায়াম করবেন তা যেন সীমিত থাকে । ব্যায়ামের মাধ্যমে ঘেমে গিয়ে একাকার হয়ে ওঠার কথা ভুলে যান। বরং এ চিন্তাটা তুলে রাখুন শীতকালের জন্য। এখন, খুব ভোরে হেটে আসুন খোলা বাতাসে। কিংবা সাঁতার কার্টুন কিছুক্ষণ। ব্যাস। এর বেশি কিছু নয়।
পানি খান পেটপুরে
দুঃসহ গরমে ঘামের সাথে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় প্রচুর পরিমাণে পানি। সেই পানি পূরণ করার জন্য আপনাকে অনেক বেশি পানি খেতে হবে। এ ছাড়া স্বাভাবিকভাবেই গরমে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। শরীরের কোষগুলোকে সজীব রাখতে হলে চাই পানি। শরীরে পানির অভাব হলে মাংসপেশী ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাই দুঃসহ গরমে যেখানেই থাকুন না কেন সঙ্গে রাখুন প্লাস্টিকের বোতলভর্তি পানি ।
তরল খাবার বেশি খান
বিভিন্ন মাংস, ডিম এবং চর্বি জাতীয় খাবারের কথা ভুলে যান। তরল খান বেশি করে, দেখবেন শরীরটা সতেজ লাগছে বেশ। স্যুপ, ফলের রস এগুলো খান। সবজি বাদ দেবেন না। শরীর থেকে ঘামের সাথে বেরিয়ে যাচ্ছে লবণ আপনি খাবার স্যালাইন খান। ডাবের পানি, তরমুজে ভরিয়ে ফেলুন পাকস্থলী।
পোশাক পরুন হাল্কা রঙের
গরমে একেবারেই ভুলে থাকুন গাঢ় রঙের পোশাকের কথা। এগুলো তুলে রাখুন ওয়ার্ডরোবে। পোশাক পরুন হাল্কা রঙের। গাঢ় রঙের পোশাক রোদ শোষণ করে বলে। আপনার গরম অনুভূত হয় বেশি। কিন্তু হাল্কা রঙের পোশাক রোদ যতটুকু না শোষণ করে তার চেয়ে প্রতিফলিত করে অনেক বেশি। তাই হাল্কা রঙের পোশাকে আপনি কেবল স্বাচ্ছন্দ্যই বোধ করবেন না বরং এই পোশাক আপনার শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে। সবচেয়ে ভালো হয় সাদা রঙের পোশাক হলে। গরমে সিনথেটিক পোশাক কখনই পরবেন না। সর্বদা সুতির ও ঢিলা পোশাক পরুন।
পারফিউম মাখুন দেখেশুনে
যদি গরম বেশি পড়ে, ভুলেও ভারি এবং কড়া গন্ধের পারফিউম মাখবেন না। কড়া পারফিউমে আপনার শরীরে গরম লাগার ভাবটা বেড়ে যাবে। এ সময়ে একেবারে হাল্ক গন্ধের পারফিউম মাখুন। কিছু কিছু পারফিউম আছে যা মাখলে শরীরে ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। আজই খোঁজ করুন।
বিরত থাকুন ধূমপান থেকে
সিগারেটের কথা মুখেই আনবেন না গরমে। আগে সিগারেটের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন সেটা। ধূমপানে শরীর আরও গরম হয়ে উঠবে। বাড়বে ত্বকের শুষ্কতা। বরং তার বদলে খান একটি করে ভিটামিন সি ট্যাবলেট। সজীব লাগবে নিজেকে।
পরিত্যাগ করুন চা, কফি ও অ্যালকোহল
গরমের অত্যাচারে যখন আপনি অতিষ্ঠ ভুলেও পান করবেন না, চা কফি বা অ্যালকোহল। এগুলো বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে আপনার শরীরে। বাড়িয়ে দেবে বেশি করে পানিশূন্যতা। আপনার তৃষ্ণা মেটাতে স্রেফ পানি পান করুন। অথবা কোমল পানীয়। কিন্তু চা, কফি বা অ্যালকোহল? একেবারেই না।
এড়িয়ে চলুন সূর্যালোক
চেষ্টা করুন ছায়ার মধ্য দিয়ে চলতে। রোদে গেলে মাথায় রাখুন চওড়া ক্যাপ, স্কার্ফ অথবা ছাতা। রিকশায় চড়লে হুড উঠিয়ে চলুন। ত্বকে মেখে চলুন সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন।
রোদে বাইরে বেরোলেই সানগ্লাস পরে নেবেন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন সানগ্লাসটি যেন চোখের সাথে চমৎকার ফিটিং হয়। বেছে নিন ধূসর অথবা সবুজ রঙের কাচ। বাদামি রঙের কাচ হলে ভালো হয় । এই কাচগুলো সূর্যালোককে প্রতিহত করবে।
গোসল করুন একাধিক বার
সবচেয়ে ভালো হয় যদি ঠাণ্ডা বাথটাবে চুপচাপ শুয়ে থাকেন এবং মাঝে মাঝে সেখানে ছুড়তে থাকেন হাত পা। কিন্তু তা সম্ভব না হলে দিনে দু'তিন বার গোসল করুন। শরীরে তেল জাতীয় কিছু মাখবেন না। সময় একটু বেশি নিয়ে গোসল করুন। এমনকি রাতে শোবার আগেও।
শুয়ে পড়ুন মেঝের ওপর
ফোমের বিছানা, কিংবা জাজিম-তোষক গুটিয়ে রাখুন। ভালো করে ধুয়ে মুছে সটান শুয়ে পড় ন মেঝের ওপর। আপনার কোমরে কিংবা পিঠে ব্যথা থাকলে তো সোনায় সোহাগা। গরম তাড়ানোর পাশাপাশি ব্যথার চিকিৎসাও হয়ে গেল। মেঝের শীতল অনুভূতি শীতল করে তুলবে আপনার শরীরকে। চমৎকার ঘুম হবে আপনার। মাথার ওপর অবিরাম ছেড়ে রাখুন ফ্যানটা। দেখবেন গরম কোথায় পালায়।
●হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জিহাদী জীবন