Narrow selection

সুন্দর উপস্থাপনা করার নিয়ম - How to improve Performance


15:22:52 12/09/2023

সুন্দর উপস্থাপনা করার নিয়ম

১. এই মাত্র আপনাকে বক্তৃতা রাখার অনুরোধ করা হলো। আপনি মনে মনে আল্লাহর কাছে দোয়া করে নিন ও মৃদু হাসি দিয়ে মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসুন। লক্ষ্য করে দেখবেন আপনার মুচকি হাসি ও প্রফুল্লতা শ্রোতা- দর্শকদের আনন্দিত করবে। আপনার বক্তব্যের দিকে অত্যধিক মনোনিবেশ করবে।

২. দাঁড়িয়েই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শ্রোতাদের অবস্থা দেখে অবস্থা ভেদে আপনার চেহারার রূপ পরিবর্তন হবে। পূর্বে সালাম বিনিময় না হয়ে থাকলে সকলকে লক্ষ্য করে সালাম করতে হবে।

৩. এভাবে ৪/৫ সেকেন্ডের মধ্যে শ্রোতা-দর্শকদের মানসিক সংযোগ স্থাপন করে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে (যদি পরিচয় জানা না থাকে) স্বাভাবিক ভাবে বক্তব্য শুরু করতে হবে। শুরুতেই চিৎকার করা যাবে না।

৪. কর্কশ কন্ঠস্বর পরিহার করে মিষ্টি মধুর আওয়াজে কথা বলতে হবে। ৫. কণ্ঠস্বরকে শ্রোতাদের উপযোগী করে বলতে কথা হবে।

৬. ভাষার শুদ্ধতার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। সাধু ও চলিতের সংমিশ্রণ করা যাবে না। আঞ্চলিকতা পরিহার করতে হবে। শব্দ উচ্চারণ করতে হবে সঠিকভাবে। শব্দ চয়ন, বাক্য-বিনির্মাণ এবং উচ্চারণের উপরই আকষর্ণীয় উপস্থাপনের অনেক কিছু নির্ভর করে।

৭. বক্তব্য অবশ্যই স্পষ্ট ও সাবলীল হতে হবে। জড়তা পরিহার করতে হবে। নতুন বক্তা হলে ভয়ের কারণে বাম হাত শক্ত করে মুষ্টিবদ্ধ করে বক্তৃতা শুরু করলে সব ভীতি দূর হয়ে যাবে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো রিপিট

করতে হবে।

৮. বক্তৃতার মধ্যে চুটকি, খণ্ডগল্প বা কবিতার কিংবা কোন পরিচিত ক্ষুদ্র ঘটনা বলে পুরো মাজমাকে (অনুষ্ঠানকে) রসালো করে রাখতে হবে।

৯. এমনভাবে বক্তব্য রাখতে হবে যাতে শ্রোতারা বুঝতে পারে আপনি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন।

১০. খুবই আন্তরিকতার সাথে দিল থেকে কথাগুলো বলতে হবে। কেননা আল্লামা ইকবাল (র.) জওয়াবে শিকওয়ায় বলেছেন-

دل سے جو بات نکلتی ہے اثر رکھتی ہے جو پر نہیں مگر طاقت پرواز رکھتی ہے

অর্থাৎ, যে কথা অন্তর থেকে নির্গত হয় তা অবশ্যই প্রভাব সৃষ্টি করে। পাখা নেই কিন্তু উড়তে পারে।

হয় তা হৃদয়ে বদ্ধমূল গ্রথিত হয়ে যায়।

যে কথা বারবার আলোচিত

পুরো বক্তব্যের সময়কে আন্তরিকতা ও খোশ মেজাজ দিয়ে মাতিয়ে রাখতে হবে। এমনভাবে সম্মোহিত করে রাখতে হবে যেন বক্তৃতা সুন্দর, চমৎকার, হৃদয়গ্রাহী হয় এবং স্মৃতিতে অম্লান করে রাখা যায়।

১১. সাজিয়ে গুছিয়ে বক্তব্য রাখা। কিছু বক্তা এমন রয়েছে, যাদের বক্তব্যের আগা-মাথা নেই। তাদের বক্তৃতার বিষয়বস্তু কি? শুরু কোথায়? শেষ কোথায়? শ্রোতারা বুঝতে পারে না যে, সে কি বিষয়ে বলতে চায়। এমনটি করা যাবে না। সুবিন্যস্ত করে বলতে হবে । এভাবে পেশ করতে হবে-

১২. বিশেষতঃ ক. সম্বোধন। খ. মূল বক্তব্য। গ. উপসংহার ঘ. আবেদনপূর্ণ ও আকর্ষণীয় সূচনা, প্রভাবশালী কথা। ৫. নিজস্ব মন্তব্য ও মতামত। চ. অবিচ্ছিন্ন শব্দময়-গতিশীল উপস্থাপনা। ছ. অনুপম উপসংহার এবং কাব্যরসে সমৃদ্ধ বক্তৃতার মাধ্যমেই একজন শ্রেষ্ঠ বক্তা হওয়া যেতে

পারে।

১৩. আপনার সময় শেষ হওয়ার পর বক্তব্য লম্বা করা যাবে না। এতে শ্রোতাদের শোনার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায়।

১৪. বক্তৃতা দেয়ার সময় কারো কথা নকল করতে হলে বিশুদ্ধভাবে নকল করতে হবে ।

১৫. শ্রোতাদেরকে সম্বোধন করে কিছু করার আহবান জানালে নিজকে অন্তর্ভুক্ত করে তা বলতে হবে। যেমন- আপনারা নামাজ পড়বেন, এভাবে না বলে বরং এভাবে বলতে হবে যে, আসুন আজ হতে আমরা সকলে রীতিমতো নামায পড়ি।

১৬. প্রতিটি বক্তৃতার ভিত্তি হবে কুরআন ও সুন্নাহ। অর্থাৎ, কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে উপস্থাপন করা ।

১৭. যখন যে বিষয়ে কোন বক্তব্য রাখতে হবে তার পূর্বে বিষয়টির উপর মুতালা'আ করতে হবে। জাতিকে কুরআন ও সুন্নাহর জ্ঞান দান করতে হবে, এ আঙ্গিকে মুতালা'আ করতে হবে।

১৮. বক্তাদের নিজস্ব কুতুবখানা থাকতে হবে।

১৯. প্রতিটি বক্তৃতা হবে জ্ঞান ও তথ্যনির্ভর।

আঙ্গিকে। আক্রমণ করা, আঘাত হানা, সমালোচনা জাতীয় যাতে না হয় এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে । এতে কর্তৃপক্ষও বিব্রতবোধ করে।

 

● হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জিহাদী জীবন


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color