Narrow selection

বক্তব্যের গুরুত্ব ও প্রভাব - Importance and impact of speech


বক্তব্যের গুরুত্ব ও প্রভাব

সব মানুষই বক্তৃতা করে না, আবার সবাই বক্তৃতা জানেও না। তাই বক্তৃতা মানব ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা সবাই জানি, সমাজের কিছু লোক বক্তৃতা করেন, বাকীরা বক্তৃতা শুনেন। শ্রোতার তুলনায় বক্তার সংখ্যা খুবই কম। অনেক বক্তা এমন আছেন যিনি বক্তৃতা শুরু করলে মানুষ নীরব হয়ে শোনে। বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ তাদের বক্তৃতা শোনার জন্য সমবেত হয়।

আবার কারো কারো বক্তৃতা অনলবর্ষী। তাদের বক্তৃতায় শ্রোতারা প্রভাবিত ও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। কারো কারো বক্তৃতা উদ্দীপনাময়। তাদের বক্তৃতায় শ্রোতারা উচ্ছ্বসিত ও উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। কারো বক্তৃতা মর্মস্পর্শী, তার বক্তৃতা শুনে শ্রোতারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে। এমন কি অশ্রুও ঝরায়। কারো বক্তৃতা শাণিত, যুক্তি ধারালো অস্ত্রের মতো। তাতে শ্রোতাদেরও বুদ্ধি বিবেক জাগ্রত হয়ে ওঠে, চিন্তার রাজ্যে আন্দোলন সৃষ্টি হয়। আবার কিছু বক্তা শিল্প সৌন্দর্যে, কেউবা রস-মাধুর্যে, কেউবা মনোহারী চাতুর্যে শ্রোতাদের আকৃষ্ট করেন, এভাবে বক্তারা শ্রোতাদের প্রভাবিত করেন।

বক্তৃতা কোন বিষয়ে লোক সমাজকে অবহিত ও তা থেকে শিক্ষা গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে, স্বমতে নিয়ে আসে। কিংবা কারো বিরূদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে অথবা কারো প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা জাগিয়ে তোলে। কিংবা উদ্দীপ্ত করে কোন উত্তম কাজে। ভালো বাগ্মীদের সভা ভক্তে ভরে ওঠে। আপনার অবস্থান কি? আপনি কি বক্তা? নাকি শুধুই শ্রোতা।

হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জিহাদী জীবন


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color