জাহেলিয়াতের যাবতীয় চিহ্ন মুছে ফেলা হলো - Jaheliat
03:28:03 12/10/2023
জাহেলিয়াতের যাবতীয় চিহ্ন মুছে ফেলা হলো : অতঃপর রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কার আশপাশে যে সমস্ত জায়গায় বিভিন্ন মূর্তি ছিল সেগুলো ভাঙার জন্য বিভিন্ন সারিয়া প্রেরণ করলেন। ফলে তার সবগুলো ফেঙে ফেলা হয়। লাত, উয্যা ও মানাত সালিসাতাল উখরা' সবগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছিল। অতঃপর মক্কায় এক ঘোষক উচ্চস্বরে ঘোষণা দিলেন:
যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে, তবে সে যেন তার ঘরের সমস্ত মূর্তি ও প্রতিমা ভেঙে ফেলে। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন কবীলার কাছে সাহাবায়ে কিরামকে প্রেরণ করলেন। তারা সে সকল কবীলার সমস্ত মূর্তি ভেঙে ফেললেন । ২৯ জাবের রা. বলেন, জাহেলিয়াতের যুল খাসলাহ নামক একটি মন্দির আরবের বুকে বিদ্যমান ছিল।
কা'বা ইয়ামানিয়্যাহ' আর 'কা'বা শিমালিয়্যাহ' নামের আরও দুটি মন্দির ছিল। তখন রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন, তুমি কি ফুল খাসলাহ থেকে আমাকে রেহাই দিবে না? জাবের রা. বলেন, আমি তখন একশ' পঞ্চাশ জন দক্ষ সৈন্য নিয়ে বের হলাম। আমরা সবাই ছিলাম অশ্বারোহী। অতঃপর আমরা সবাই মিলে সেটা ভেঙে ফেলি।
এর কাছে যাদেরকে পান তাদেরকে হত্যা করি। অতঃপর আমি ফিরে এসে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জানালে তিনি আমার জন্য ও অন্যান্য সঙ্গীর জন্য দুআ করেন।
রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবা দেওয়ার জন্য মক্কায় মানুষের মাঝে দণ্ডায়মান হন। অতঃপর তিনি কিয়ামত পর্যন্ত মক্কার হারাম হওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, এমন কারও জন্য এখানে রক্তপাত করা কিংবা এখানের বৃক্ষ কাটা হালাল হবে না। অতঃপর তিনি বলেন, আমার আগে এটা আর কারও জন্যও কখনো হালাল ছিল না। আর আমার পরেও কারও জন্য কিয়ামত পর্যন্ত হালাল হবে না। অতঃপর নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কাকে বিদায় জানিয়ে মদীনার পথে যাত্রা করেন।
●হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জিহাদী জীবন