খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্ব - Lead of khaled bin walid
03:34:08 12/10/2023
খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্ব : রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্ধারিত তিনজন মহান আমীরের একে একে সবাই শাহাদত বরণের পরে মুসলমানরা খালিদ বিন ওয়ালিদ রা. কে তাদের আমীর হিসেবে মনোনীত করলেন। তখন খালিদ বিন ওয়ালিদ রা. পতাকা নিজ হাতে তুলে নিয়ে যুদ্ধ করতে লাগলেন। স্বভাবগতভাবেই খালিদ বিন ওয়ালিদ রা. ছিলেন একজন বিজ্ঞ সিপাহসালার। যুদ্ধের ভাব দেখেই তিনি গতি বলে দিতে পারতেন। তাই তিনি দিনের শেষে মুসলিম বাহিনী নিয়ে কিঞ্চিৎ দক্ষিণ দিকে সরে গেলেন। আর শত্রুবাহিনী ময়দানের উত্তর দিকে চলে গেল। পরিশেষে রাত গভীর থেকে গভীর হলো। এক পর্যায়ে সেদিনের মতো উভয় পক্ষ থেকে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে গেল।
এটা সচেতন ব্যক্তি মাত্রের কাছেই সুস্পষ্ট যে, যুদ্ধের ময়দান থেকে পাশ কেটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একটি কঠিন সামরিক সিদ্ধান্ত (ঠিক যেমনটি বলেছেন মেজর জেনারেল মাহমূদ শীত খাত্তাব)। কারণ কখনো কখনো এই পাশ কাটিয়ে যাওয়াটা কোনো বাহিনীর জন্য পরাজয় ডেকে আনে। আর সেটা হলে তো দুর্ভোগ আর দুর্ভাগ্যের কোনো সীমা থাকে না।
কিন্তু মৃতার ময়দানে মুসলমানদের যে সামান্য ক্ষতির পরে তারা পাশ কাটিয়ে গিয়েছিলেন সেটা ঐ বিশাল ফায়েদা ও উপকারের সামনে একেবারেই ম্লান হয়ে যায় যা তারা মৃতার মাধ্যমে অর্জন করেছিলেন। তারা রোমানদের সমরশক্তির উৎস, বিন্যাস, শৃঙ্খলা, আর তাদের যুদ্ধ কৌশল খুব কাছ থেকেই দেখেছিলেন। ইতঃপূর্বে যে ব্যাপারে তাদের খুব একটা ধারণা ছিল না। আর এই সুফল তৎক্ষণাৎ না বোঝা গেলেও রোমানদের সঙ্গে মুসলমানদের পরবর্তী বিজয়ী যুদ্ধগুলো ঠিকই সবার সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছিল।
খালিদ রা. তার সৈন্যদেরকে কয়েকটি ছোট ছোট দলে বিভক্ত করলেন। ভোরের আলো ফোটা মাত্রই তারা উচ্চস্বরে চিৎকার দিয়ে উঠলেন। এতে শত্রুবাহিনীর ভেতরে ভীতি বিভীষিকা ছড়িয়ে পড়ল। তারা ভাবল, নিশ্চিতভাবেই মুসলমানদের কাছে নতুন সেনাসাহায্য এসে পৌঁছেছে। তখন তারা বলতে লাগল, মাত্র তিন হাজার দিয়েই তারা যা করেছে, এখন যদি নতুন আরও সেনাসাহায্য এসে থাকে তবে যে কী হবে তা কে জানে? এভাবে রোমানবাহিনী ভয় পেয়ে আর যুদ্ধের ময়দানে নামল না। আল্লাহ তাআলা তাদের বিপক্ষে মুসলমানদের জন্য যথেষ্ট হলেন।
●হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জিহাদী জীবন