Narrow selection

মুসলমানদের হাবশায় হিজরত - Migration of Muslims to Habsha


03:47:03 12/11/2023

মুসলমানদের হাবশায় হিজরত : রাসূলে আকরাম (স.) যখন সাহাবায়ে কিরামের ওপর কাফেরদের এই নির্যাতন দেখতে লাগলেন। অথচ তিনি তাদেরকে সেগুলো থেকে রক্ষাও করতে পারছিলেন না। তাই তিনি তাদেরকে একদিন বললেন- যদি তোমরা পারো তবে হাবশার দিকে হিজরত করে চলে যাও কেননা সেখানে একজন ইনসাফগার বাদশাহ আছেন। তার কাছে কেউ নির্যাতিত নিপীড়িত হয় না। সেটা সত্য ও পুণ্য ভূমি। যতক্ষণ না আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে একটু প্রশস্তি দান করেন, তোমরা সেখানেই বসবাস করো।

তখন মুসলমানদের একটি দল হাবশার দিকে হিজরত করলেন। এটাই ছিল ইসলামের ইতিহাসে সর্বপ্রথম হিজরত। এই হিজরতে পুরুষ ছিল দশ জন আর মহিলা ছিল চারজন। তাদের মধ্যে ছিলেন উসমান বিন আফ্ফান রা. আর তার স্ত্রী নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মেয়ে রুকাইয়্যা রা.। তাদের আমীর ছিলেন উসমান বিন মাযউন রা.।

অতঃপর হাবশার দিকে হিজরত করলেন জাফর বিন আবী তালিব রা.। বিরাট সংখ্যক মুসলমান তার সঙ্গে গেলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ পরিবার নিয়ে আবার কেউ কেউ একাকী হিজরত করেছিলেন। আর হাবশায় হিজরতকারী মুসলমানদের সর্বমোট সংখ্যা ছিল ৮৩ জন। হারশায় মুসলমানদের হিজরতের উদ্দেশ্য কেবল কুরাইশদের যের যুলুম থেকে নিরাপত্তা লাভ করাই ছিল না। বরং এর পাশাপাশি দীনের দাওয়াত আরবের ভূখণ্ডে ছড়িয়ে দেওয়া এবং রাসূলে আকরাম (স.) এর পেরেশানী কিছুটা লাঘব করাও উদ্দেশ্য ছিল।

এখানে যে বিষয়টি লক্ষণীয় তা হলো- হাবশায় হিজরতকারী মুসলমানদের সামনে নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে আরও একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে আর তা হলো- একটি নতুন ধর্মের ওপর ভিত্তি করে একটি যে নতুন মানব সমাজ মক্কায় গড়ে উঠেছিল তার ব্যাপ্তি, বিস্তৃতি আর সমাজের সবধরনের লোককে নিয়ে একটি নতুন মানবীয় ফুলদানি করে তোলার ক্ষেত্রে সে কতটা কার্যকর ছিল। কেননা তাদের মধ্যে ধনী ও দরিদ্র, যুবক ও বৃদ্ধ, পুরুষ ও নারী সবধরনের লোক ছিল। আর তাদের অধিকাংশ মক্কার প্রতিষ্ঠিত জাতিগোষ্ঠীর লোক ছিল। আর এটাই ছিল এই নতুন দাওয়াতের দারুণ প্রভাব, শক্তি আর তার ব্যাপকতারই সমুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

মুসলমানদের পশ্চাদ্ধাবন

কুরাইশরা যখন জানতে পারল, মক্কা থেকে হাবশায় হিজরতকারী মুসলমানরা সেখানে খুবই সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছে, তখন তারা সবাই মিলে আব্দুল্লাহ ইবনে আবী রবীআ, আমর বিন আস বিন ওয়ায়েলকে বাদশাহ নাজাসী আর তার সভাষদদের জন্য বিভিন্ন প্রকারের হাদিয়া-তোহফা আর উপঢৌকন দিয়ে প্রেরণ করল। তারা দু'জন হাবশায় এসে প্রথমে বাদশাহ নাজাসীর সভাষদ আর দরবারীদের হাত করার চেষ্টা করল। অতঃপর তারা দুইজন বাদশার দরবারে এসে বলল, হে বাদশাহ মহামান্য! আমাদের কিছু বোকা লোক পালিয়ে আপনার রাজ্যে এসে আশ্রয় নিয়েছে। তারা তাদের নিজ কওমের ধর্ম ত্যাগ করেছে। কিন্তু আবার আপনার ধর্মেও ঢুকেনি। বরং তারা একটি নতুন ধর্ম নিয়ে এসেছে।

যেই ধর্ম আমরা আপনারা কেউ চিনি না। আমাদেরকে তাদের কওমের গণ্যমান্য মুরব্বী, সরদার আর তাদের বাপ-দাদা ও অভিভাবকরা আপনার কাছে পাঠিয়েছে। যাতে করে আপনি তাদেরকে তাদের কাছে ফেরত দিয়ে দেন। কেননা তারাই তাদের দেখাশোনার ব্যাপারে বেশি হকদার। তখন বাদশাহর সভাষদরা বলে উঠল- হাঁ মহামান্য। তারা সত্য বলেছে। তাদেরকে আপনি এদের দু'জনের হাতে তুলে দিন। নাজাসী ক্রদ্ধ হয়ে উঠলেন। তিনি তাদের আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালেন। তাদেরকে তাদের হাতে তুলে দিতেও 'না' করে দিলেন।

অতঃপর আল্লাহর নামে কসম খেয়ে মুসলমানদেরকে ডেকে পাঠালেন। একদিকে তিনি মুসলমানদেরকে ডাকলেন। অপরদিকে তিনি খ্রিস্টান ধর্মগুরু আর আলিমদেরকে ডাকলেন। অতঃপর মুসলমানদেরকে বললেন- সেটা কোন্ ধর্ম- যার মাধ্যমে তোমরা তোমাদের আগের ধর্ম ত্যাগ করেছ? অথচ আমার ধর্ম কিংবা পৃথিবীর অন্য কোনো ধর্মে দাখিল হওনি?

জাহেলিয়াতের সঠিক চিত্রায়ণ ও ইসলামের যথার্থ পরিচয়

তখন রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চাপতো ভাই জাফর বিন আবী তালিব রা. দাঁড়িয়ে বললেন-

হে মহামান্য বাদশাহ! আমরা ছিলাম জাহেলিয়াতের এক অন্ধকার পৃথিবীর অধিবাসী। আমরা নিষ্প্রাণ পাথরের মূর্তির সামনে মাথা নত করে দিতাম। মৃতবস্তু ভক্ষণ করতাম। সবধরনের অশ্লীল আর বেহায়াপনার মধ্যে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছিলাম। আত্মীয়তার সম্পর্ক আমরা ছিন্ন করতাম। প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমরা খারাপ ও দুর্ব্যাবহার করতাম। আমাদের সবলরা দুর্বলদেরকে খেয়ে ফেলছিল। ঠিক এই দুর্যোগঘন মুহূর্তে আল্লাহ তাআলা আমাদের কাছে আমাদের ভেতর থেকে একজন নবী প্রেরণ করলেন। আমরা তাঁর বংশ পরিচয়, তাঁর সততা ও আমানতদারি তাঁর পবিত্রতা ও নিষ্কলুষতা সম্পর্কে পূর্ণ অবগত।

তিনি আমাদেরকে এসে আল্লাহর দিকে ডাকলেন- যেন আমরা, আল্লাহ এক বলে স্বীকার করি। আমরা তাঁর ইবাদত করি। আমরা আর আমাদের বাপ-দাদারা ইতঃপূর্বে যে নিষ্প্রাণ আর বেজান মাটি আর পাথরের তৈরী মূর্তির পূজা করতাম তা ছেড়ে দিতে বললেন। তিনি আমাদেরকে সত্য কথা বলার নির্দেশ দিলেন। মানুষের আমনত সঠিকভাবে ফিরিয়ে দিতে বললেন। তিনি আমাদেরকে আরও বললেন, যেন আমরা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখি। প্রতিবেশীর সঙ্গে সদাচারণ করি। হারাম আর রক্তপাত থেকে নিজেদের হাত দূরে রাখি। তিনি আমাদেরকে যাবতীয় অশ্লীলতা আর মিথ্যাচার থেকে নিষেধ করলেন। ইয়াতীমের মাল খেতে আমাদেরকে বারণ করলেন। সতী-সাধ্বী নারীর ওপর ব্যভিচারের মিথ্যা কালিমা লেপন করতে নিষেধ করলেন।

তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দিলেন- যেন এক আল্লাহর ইবাদত করি। তাঁর সঙ্গে অন্য কাউকে শরীক না করি। তিনি আমাদেরকে নামায, রোযা আর যাকাতের এখানে আরও কিছু ইবাদতের কথা উল্লেখ করলেন- নির্দেশ দিলেন। তখন আমরা তাকে সত্যায়ন করলাম । অমরা তাঁর ওপর ঈমান আনলাম। তিনি যা কিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ে এসেছেন, আমরা সে সকল ক্ষেত্রে তাকে অনুসরণ করলাম। আমরা এক আল্লার ইবাদত করতে শুরু করলাম। তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক করলাম না। তিনি যেগুলো হারাম করেছেন সেগুলোকে হারাম জানলাম। আর যেগুলো তিনি হালাল করেছেন সেগুলোকে হালাল জানলাম।

আর তখনই আমাদের কওম আমাদের বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ালো। তারা আমাদের সঙ্গে দুশমনি শুরু করল। তারা আমাদের ওপর যুলুম আর নির্যাতন করতে লাগল। তারা আমাদেরকে আমাদের সেই পুরনো দিনের অন্ধকারের মধ্যে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সবধরনের কৌশল অবলম্বন করল। আল্লাহর ইবাদত থেকে নিষ্প্রাণ প্রতিমার ইবাদতের দিকে নেওয়ার জন্য সবধরনের ফন্দি আটল। খবীস আর নাপাকী যেগুলোকে আমরা আগে হালাল মনে করতাম আবার সেই হালাল মনে করার জন্য বাধ্য করতে লাগল।

এভাবে যখন তারা আমাদের ওপর তাদের যুলুম আর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিলো, গোটা পৃথিবী যখন আমাদের কাছে সংকীর্ণ হয়ে এলো, তারা আমাদের ও আমাদের দীনের মাঝে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ালো, তখন আমরা আপনার রাজ্যে চলে এলাম। আপনাকে আমরা অন্যান্যের ওপর প্রাধান্য দিলাম। অন্য সবাইকে বাদ দিয়ে আপনার রাজ্যে এসে আশ্রয় নিলাম। আর তাই আমাদের প্রত্যাশা- হে মহামান্য। আমরা আপনার কাছে নির্যাতিত হবো না।

বাদশাহ নাজাসী পুরো বক্তব্য দারুণ নীরবতা আর মনোযোগের সঙ্গে শুনলেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের সঙ্গী আল্লাহর কাছ থেকে যা নিয়ে এসেছেন, তার কোনো কিছু কি তোমাদের কাছে আছে? জাফর রা. বললেন, হাঁ। নাজাসী বললেন, তবে তা আমাকে পাঠ করে শোনাও! তখন জাফর রা. সূরা মারইয়ামের প্রাথমিক আয়াতগুলো তিলাওয়াত করলেন। বাদশাহ নাজানী তিলাওয়াত শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন। চোখের অশ্রুতে তাঁর শ্মশ্রু সিক্ত হলো। উপস্থিত খ্রিস্টান পাদরি ও আলিমরাও কাঁদলেন। তাদের চোখের পানিতে কিতাব ভিজে গেল।

হাবশার বাদশাহর সামনে জাফর রা. এর বক্তব্য ছিল যথার্থ। সেখানে তিনি ইসলামের যে চিত্রায়ণ করেছিলেন তা সেই সময় আর স্থানের সঙ্গে ছিল পূর্ণ উপযোগী আর যথোচিত । এটা তার আরবি বর্ণনাভঙ্গির চেয়েও বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তি আর সামর্থ্যের ওপর বড় দলীল। বস্তুত এটা তার মানবীয় প্রতিভা আর মেধা ও মিহনত দ্বারা সম্ভব ছিল না। বরং এটা ছিল পুরোপুরি মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে। যা তিনি তার কলবের ওপর ঢেলে দিয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা চেয়েছিলেন এই দীনের আলো দিয়ে গোটা পৃথিবীকে আলোকিত করতে আর তাই এমন হয়েছিল। জাফর রা. তাঁর বক্তৃতায় সহজাত প্রকৃতি, আর বুদ্ধিবৃত্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। আর এই ক্ষেত্রে বনু হাশিম কুরাইশের চেয়ে অগ্রগামী ছিল।

আর কুরাইশরা ছিল অগ্রগামী গোটা আরবের ওপর। কেননা জাফর রা. এখানে তাঁর বক্তৃতায় কোনো মতপার্থক্য, কিংবা ইখতিলাফের আশ্রয় নেননি। এমন কিছু বলেননি যাতে তার কথার ওপর প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকে। এর বিপরীতে তিনি প্রকৃত অবস্থার চিত্র এঁকেছেন। তিনি সর্বপ্রথম তুলে ধরেছেন নবীজীর আবির্ভাবের আগে জাহেলী আরবের আসলে কী দুরবস্থা ছিল। অতঃপর তিনি যখন এলেন তখন সেই মানুষগুলোর হৃদয়-দুনিয়ায় কী বিপ্লব আর রেনেসাঁ নিয়ে এলেন? আর এতে করে তাঁর বক্তব্য সঠিক অর্থকে পুরোপুরি শ্রোতার সামনে তুলে ধরতে পেরেছিল। প্রকত্ লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হয়েছিল। তার ইনসাফও শ্রোতার মনোযোগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে পূর্ণ সফল ছিল।

কুরাইশ প্রতিনিধিদলের ব্যর্থতা

অতঃপর নাজাসী বললেন, এটা তো সেই জিনিস- যা নিয়ে এসেছিলেন ঈসা আ.। এটা একই উৎস থেকে উৎসারিত। অতঃপর কুরাইশ দূতদ্বয়কে লক্ষ করে বললেন- এবার তোমরা চলে যেতে পারো। খোদার কসম- আমি তাদেরকে তোমাদের হাতে তুলে দিব না। তখন আমর বিন আস তার তৃণীরের সর্বশেষ তীরটি নিক্ষেপ করল। আর সেটা ছিল একটি বিষাক্ত তীর। সে পরের দিন সকালে বাদশাহ নাজাসীর কাছে গিয়ে বলল, মহামান্য! তারা ঈসা ইবনে মারইয়াম সম্পর্কে ভারি মারাত্মক আকীদা পোষণ করে। তখন বাদশাহ মুসলমানদেরকে ডেকে বললেন, ঈসা ইবনে মারইয়াম সম্পর্কে তোমাদের কী মতামত?

জাফর বিন আবী তালিব রা. বললেন- আমরা তাঁর সম্পর্কে তাই বলি, যা আমাদের নবী নিয়ে এসেছেন। তিনি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল তাঁর রূহ ও বাণী- যা তিনি কুমারী নিষ্কলুষ মারইয়ামের ওপর ঢেলে দিয়েছিলেন। অতঃপর বাদশাহ নাজাসী হাতে একটি খড় নিয়ে বললেন- খোদার কসম! এর চেয়ে ঈসা ইবনে মারইয়াম এই খড় পরিমাণও বেশি কিছু ছিলেন না।

অতঃপর তিনি মুসলমানদেরকে পূর্ণ নিরাপত্তা দান করলেন। অপরদিকে কুরাইশদের দূতদ্বয় ব্যর্থমনোরোথ হয়ে মক্কার পজীবন-যাপন করতে লাগলেন। কিছুদিন পর বাদশাহ নাজাসীর এক দুশমন তার ওপর আক্রমণ করে। তখন সেখানকার মুহাজির মুসলমান বাদশাহ নাজাসীর হয়ে লড়াই করেন এবং তাকে সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করেন। বস্তুত এটা ছিল মুসলমানদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ আর ইহসানের কৃতজ্ঞতা।" আর এটাই ছিল মুসলমানদের প্রতি ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা।

হারশায় মুসলমানদের এই হিজরতের ঘটনা ঘটেছিল নবুওতের পঞ্চম বর্ষে। আর জাফর বিন আবী তালিব রা. তার কিছু মুহাজির সঙ্গী নিয়ে হাবশায় বসবাস করেছিলেন হিজরতের সপ্তম বর্ষ পর্যন্ত। পরবর্তীতে তিনি সপ্তম হিজরীতে গাযওয়ায়ে খাইবর চলাকালে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দরবারে উপস্থিত হয়েছিলেন। 

এই হিসেবে তিনি হাবশায় জীবনের দীর্ঘ পনেরোটি বছর কাটিয়ে দিয়েছিলেন। এটা ছিল একটি লম্বা সময়। হয়তো এই লম্বা সময়ে জাফর রা. হাবশাতে বিশাল দাওয়াতী কাজ আঞ্জাম দিয়ে থাকবেন। দুনিয়ার এমন একটি খ্রিস্টান তৃগণ্ডে ইসলামের পরিচয় তুলে ধরবেন- যেই ভূখণ্ড তাবৎ দুনিয়ার অন্যান্য খ্রিস্টান ভূখণ্ড থেকে স্বতন্ত্র মর্যাদার অধিকারী ছিল। ধর্মীয় উদারতা আর নির্যাতিতদের আশ্রয়দানে যা সবার চেয়ে এগিয়ে ছিল। 

যার সম্রাট ইনসানিয়াত আর মানবতা, ন্যায় ইনসাফের ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ ছিলেন। কিন্তু সেই যুগটি আর সেই সময়টি এসব ঘটনা আর ইতিহাস লিখে রাখার যুগ ও সময় ছিল না। আর তাই আমরা এ গুলোর কোনো নির্ভরযোগ্য বর্ণনা পাইনি। তবে কিয়াসের দাবি হলো- এটা অবশ্যই হয়ে থাকবে।

 

হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জিহাদী জীবন

 


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color