হযরত খাদীজা রা. থেকে মহানবী সা. এর সন্তান
05:37:39 01/04/2025
হযরত খাদীজা রা. থেকে মহানবী সা. এর সন্তান
হযরত খাদীজা রা. থেকে মহানবী সা. এর দুই ছেলে এবং চার কন্যা জন্ম লাভ করেন। ভাগ্যমান পুত্রদ্বয় হলেন কাসেম তাহের। কাসেম রা.এর নাম দ্বারা মহানবী সা. এর উপনাম আবুল কাসেম প্রসিদ্ধ হয় এবং তাহের রা. সম্পর্কে এটাও বলা হয় যে, তার নাম ছিল আব্দুল্লাহ। চার কন্যা হলেন, ফাতিমা, যয়নাব, রুকাইয়্যা উম্মে কুলসুম রা.। হযরত যয়নাব মহানবী সা. এর কন্যাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিলেন। রাযিয়াল্লাহু আনহুম আজমাইন ।
এসব সন্তান হযরত খাদীজা রা. এর উদরজাত ছিলেন। তবে মহানবী এর তৃতীয় ছেলে যার নাম ইব্রাহীম ছিল, তিনি শুধুমাত্র মারিয়া কিবতিয়া থেকে ছিলেন। মহানবী সা. এর এ তিন সন্তান শৈশবকালেই মৃত্যুবরণ করেন। অবশ্য হযরত কাসেম রা. সম্পর্কে কোন কোন রেওয়ায়েত থেকে জানা যায় যে, এ বয়সে উপনীত হয়েছিলেন যে,বাহনের উপর আরোহণ করতে পারতেন।
মুহাম্মদ সা. এর বংশ পরিচয়
সাস্থসম্মত উপায়ে তৈরি ১০০%-খাঁটি-ঘি
মহানবী সা. এর চার কন্যা
হযরত ফাতিমা রা. সকল উম্মতের ঐক্যমতে কন্যাদের মধ্যে সর্বোত্তম ছিলেন। নবী কারীম সা. তাঁর ব্যাপারে ইরশাদ করেছেন যে, ফাতিমা রা. জান্নাতী রমণীদের সরদার হবেন।
তাঁর বিবাহ পনের বছর সাড়ে পাঁচ মাস বয়সে হযরত আলী রা. এর সাথে হয়ে ছিল। চার শত আশি দেরহাম মোহর নির্ধারিত হয়েছিল। (যা বর্তমান হিসেবে প্রায় ১৫০ তুলা রৌপ্য মপরিমাণ)।
এই জান্নাতী রমণীকুলের সরদারের বিবাহের উপঢৌকন কি ছিল? একটি চাদর, একটি বালিশ,যার মধ্যে খেজুর গাছের ছাল ভর্তি ছিল। একটি চামড়ার গদি, রশি দ্বারা বানানো চারপাই (খাট), একটি চামড়ার পান পাত্র, ২টি মাটির কলস ২টি মশক এবং একটি আটা পেষার যাতা। (তাবাকাতে ইবনে সাদ ইত্যাদি)
যাতা পেষা এবং ঘরের যাবতীয় কাজ তিনি নিজ হাতে করতেন। এই ছিল উভয় জগতের সরদারের সর্বাধিক প্রিয়তম কন্যার বিবাহের উপঢৌকন ও মোহর। আর এই ছিল তাঁর দরিদ্র জীবনের বাস্তব চিত্র। এসব দেখেও কি ঐ সকল নারীগণের লজ্জা হয় না? যারা বিবাহ-শাদী অনুষ্ঠানে স্বীয় দ্বীন ও দুনিয়াকে ধ্বংস ও বরবাদ করে।
এতে আল্লাহ তায়ালার বড় রহস্য নিহিত ছিল যে, রাসূলুল্লাহ সা. এর কোন পুত্র-সন্তান জীবিত ছিল না। কেবল কন্যা-সন্তানদের মাধ্যমেই পৃথিবীতে তাঁর বংশ বিস্তার লাভ করেছে। কিন্তু কন্যাদের মধ্যেই শুধু হযরত ফাতিমার সন্তান বেঁচে ছিল। অন্যান্য কন্যার কারোর সন্তানই হয়নি। আর কারোর সন্তান জীবিত ছিল না ।
হযরত যয়নাবের বিবাহ আবুল আস বিন রবী এর সাথে হয়েছিল। তার থেকে এক পুত্র জন্ম লাভ করেছিল। অল্প বয়সেই সে মারা যায় এবং এক মেয়ে (উমামা) জন্ম হয়। যাকে হযরত ফাতিমা রা. এর মৃত্যুর পর হযরত আলী রা. বিবাহ করেন। কিন্তু তার থেকে কোন সন্তান হয়নি।
রুকাইয়্যা হযরত উসমান রা. এর বিবাহ বন্ধনে আসেন এবং হাবশার হিজরতে হযরত উসমান রা. এর সাথে থাকেন। ২য় হিজরীতে বদর যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় নিঃসন্তান অবস্থাতেই দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। তারপর ৩য় হিজরীতে তাঁর দ্বিতীয় বোন উম্মে কুলসুমের বিবাহও রাসূলুল্লাহ সা. তাঁর সাথে করে দেন। এজন্য হযরত উসমান রা. এর উপাধী (যিন্নুরাইন) হয়েছিল। নবম হিজরীতে তাঁরও মৃত্যু হয়। তখন মহানবী সা. ইরশাদ করলেন, আমার তৃতীয় কোন মেয়ে থাকলে তাঁকেও হযরত উসমানের সাথে বিবাহ দিতাম। -সীরাতে মুগলতাঈ পৃঃ১৬-১৭
নারীগণ.. স্মরণ রাখবেন, সীরাতের নির্ভরযোগ্য বর্ণনাতে রয়েছে, একদা হযরত রুকাইয়্যা হযরত উসমান রা. এর প্রতি অসুন্তুষ্ট হয়ে হযরত রাসূলুল্লাহ সা. এর নিকট অভিযোগ নিয়ে আসেন। মহানবী সা. ইরশাদ করলেন, আমার পছন্দ নয় যে, কোন নারী তার স্বামীর অভিযোগ করবে। যাও, নিজের ঘরে বস। এই হল মেয়েদের শিক্ষা, যার দ্বারা তাদের জীবন দুনিয়া ও আখিরাতে সংশোধন হয়ে গিয়েছিল।-আওয়াসুস সিয়ার, ইবনে ফারিস
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন
নবী রাসুলগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন?
সাহাবাগণ কিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন