কিবলা পরিবর্তনের ঘটনা - The phenomenon of Qibla change
06:01:17 12/10/2023
কিবলা পরিবর্তনের ঘটনা : রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কিরাম বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামায আদায় করতেন। মদীনায় আসার পরে ততদিনে প্রায় ১৬ মাস অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মনের তামান্না ছিল কা'বা শরীফের দিকে কিবলা হোক। পাশাপাশি আরবীয় মুসলমানদের কাছে কা'বার বিপরীতে কিবলা হওয়ার জন্য আর কোনো ঘরের তুলনা ছিল না।
কারণ এই ঘরের ইযযত ও সম্মান, ইশক ও মুহাব্বতের দুগ্ধ পান করেই তারা বড় হয়ে উঠেছিলেন। একইভাবে এটাই ছিল ইবরাহীম ও ইসমাঈল আ. এর কিবলা। তাই তারাও চাইতেন কাবার দিকে মুখ ফিরিয়ে দেওয়া হোক। পাশাপাশি বাইতুল মুকাদ্দাসকে কিবলা বানানোর মধ্যে মুসলমানদের জন্য ছিল একটা বিরাট পরীক্ষা। বাদবাকি মুসলমানরা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন- আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম। তারা আরও বলেছিলেন, আমাদের রবের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য যা সিদ্ধান্ত হবে তাই শিরোধার্য।
আর তাই তারা রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনুগত্য আর আল্লাহর নিদের্শের সামনে মাথা নত করা ছাড়া দ্বিতীয় আর কিছু বুঝতেন না। চাই তাদের মন ও মগজ তাতে সায় দিত বা দিত না। অভ্যাসের সঙ্গে খাপ খেয়ে যাক বা না যাক। অতঃপর যখন আল্লাহ তাআলা তাদের কলবগুলিকে পরীক্ষা করে নিলেন, তখন নিজের রাসূল ও মুসলমানদেরকে আবার কা'বার দিকে ঘুরিয়ে দিলেন । ১৯ কুরআনে কারীমের ঘোষণা শুনুন:
وكذلك جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وسطا لتكُونُوا شُهَدَاء عَلى النَّاسِ ويَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا وَمَا جَعَلْنَا الْقِبْلَةَ التي كُنت عَلَيْهَا إِلَّا لِتَعْلَمَ من يَتَّبِعُ الرَّسُولَ مِمَّنْ يَنْقَلِبُ عَلَى الله عقبيه وإن كانت لكبيرة إِلَّا عَلَى الذين هدى
অর্থাৎ এমনিভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী সম্প্রদায় করেছি যাতে করে তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমণ্ডলীর জন্যে এবং যাতে রাসূল সাক্ষ্যদাতা হন। তোমাদের জন্য। আপনি যে কিবলার উপর ছিলেন, তাকে আমি এজন্যই কেবলা করেছিলাম, যাতে একথা প্রতীয়মান হয় যে, কে রাসূলের অনুসারী থাকে আর কে পিঠটান দেয়। নিশ্চিতই এটা কঠোরতর বিষয়, কিন্তু তাদের জন্য নয়, যাদেরকে আল্লাহ পথপ্রদর্শন করেছেন। [সূরা বাকারা: ১৪৩
মুসলমানরা আল্লাহ তাআলার নির্দেশ পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে বাইতুল্লাহর দিকে ঘুরে গেলেন। এভাবে বাইতুল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের কিবলার মর্যাদা লাভ করল। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে যে কোনো মুসলমান থাক- নামাযের সময় তাকে তার দিকে মুখ ফিরাতেই হবে।
● হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জিহাদী জীবন