নবজাতকের জন্য করণীয় - Things to do for newborns
06:02:41 12/10/2023
নবজাতকের জন্য করণীয় : শিশুকে জন্মের সাথে সাথে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মায়ের বুকের দুধ খেতে দিন। শিশু সাথে সাথে নাও খেতে পারে। তবুও তাকে বার বার খাওয়াবার চেষ্টা করুন।
শিশুকে জন্মের পর পানি বা মধু খাওয়াবার প্রয়োজন নেই।
প্রতিবার দুধ খাওয়াবার পরে শিশুর পিঠ চাপড়ে ঢেঁকুর তোলাবেন। শিশুকে আপনার বাঁ কাঁধে এমনভাবে রাখবেন যাতে তার পেট সরাসরি আপনার কাঁধে লেগে থাকে। এবার পিঠে কয়েকটি চাপড় দেবেন। একে আমরা Burping বলি। এটা কীভাবে করতে হয় প্রয়োজনে চিকিৎসকের কাছে দেখে নেবেন।
শিশুকে কাপড়ে মুড়ে রাখুন। গরমের দিনে হালকা সুতি কাপড় ব্যবহার করুন। জামা-কাপড়গুলোও যেন হালকা সুতি কাপড়ের হয়। দোকান থেকে কোনো কাপড় না ধুয়ে শিশুর জন্য কখনোই ব্যবহার করবেন না।
শিশুর নাভি দিনে অন্তত দু'বার পরিষ্কার করুন। স্পিরিট বা হেক্সিসলে তুলা ভিজিয়ে পরিষ্কার করবেন। নাভি লক্ষ্য রাখবেন। যদি ভেজা বা রস গড়িয়ে পড়ে বা দুর্গন্ধ পাওয়া যায় তবে সাথে সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।
শিশুকে সকালের নরম রোদে ১৫-৩০ মিনিট রাখবেন। এতে শিশুর জন্ডিসের মাত্রা কমবে।
শিশুর জন্মের পরে বিসিজি টিকা ও পোলিও টিকা দেয়া প্রয়োজন। অনেকের ধারণা দেড় মাস বয়স থেকে টিকা দিতে হয়। দেড় মাস বয়সে ডিপিটি টিকা দিতে হয়। কিন্তু জন্মের পরে বিসিজি টিকা দেয়া ও পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়। শিশুর জন্য বিসিজি টিকা অত্যন্ত জরুরি একথা মনে রাখবেন।
শিশু মায়ের বুকের দুধ পাচ্ছে না বা পেলেও খেয়ে পেট ভরছে না এমন কথা অনেক মা বলেন। তবুও যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন বুকের দুধ দিতে। তারপরেও কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজে থেকে অন্য কোনো দুধ দেবেন না। চিকিৎসক যদি অন্যকেনো দুধ যেমন Biomil দিতে বলে তবে তা নিয়মানুযায়ী তৈরি করবেন। ৩০ মিলিলিটার বা ১ আউন্স পানিতে সমান করে ১ চামচ গুঁড়া দুধ
দিবেন । পানি অবশ্যই ফুটানো হতে হবে। আর দুধ বানানোর আগে হাত ভালো করে ধোবেন। দুধের বোতল ধোবার ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্কতার প্রয়োজন। একবার তৈরি করা দুধ শিশু না খেলে, রেখে দিয়ে অনেক পরে আবার দেবেন না।
শিশুর জ্বর, খাওয়া বন্ধ করে দেয়া, গায়ে লালচে দানা ওঠা, পায়খানার সমস্যা, অতিরিক্ত কান্না—এরকম যে কোনো সমস্যায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।
শিশু পালনে বয়ঃজ্যেষ্ঠদের পরামর্শ নেয়া ভালো। তবে বিজ্ঞান অনেক এগিয়ে গেছে। অনেক ধারণা পাল্টে গেছে। তাই কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করা ভালো। শিশুপালনে চিকিৎসকের মতামত নেয়া তাই প্রয়োজন। আশা করি প্রতিটি শিশু সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে ।
● হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জিহাদী জীবন