চোখে যদি ঘুম না আসলে করণীয় কি - ghum na asle koroniop
05:31:51 12/10/2023
চোখে যদি ঘুম না আসলে করণীয় কি? : নিদ্রাহীনতা খুবই অস্বস্তিকর এক অবস্থা। দিনের পরে নেমে আসে রাত। সেই রাতে প্রকৃতিও বিশ্রাম নেয়। নিঝুম হয়ে পড়ে—এটাই স্বাভাবিক। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই এরকম চলে আসছে এবং চলবে। মানুষও বিশ্রাম নেবে, শান্তিময় ঘুমে ডুবে যাবে— এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তব কথা হলো অনেকেই ঘুমোতে পারে না। ঘণ্টার পর ঘন্টা বিছানায় সময় কেটে যায়, চোখে ঘুম আসে না। শান্তিময়, সুন্দর ঘুম এক প্রাকৃতিক ব্যবস্থা। ঘুমের মাধ্যমে আপনার শরীর বিশ্রাম পায়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে ও তা সংরক্ষিত হয়। যদি প্রায়ই আপনার রাতের ঘুমটা খুব বাজে হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার প্রাকৃতিক ঘুমের ধরনটা যেভাবে হোক বাধাগ্রস্ত হয়েছে ।
কেন ঘুম আসে না?
নতুন চাকরি, কাঁধে অনেক কাজের অনুভূতি, মানসিক চাপ, উদ্বেগ প্রভৃতি বিষয়গুলো আপনার ঘুমের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের এক জরিপে দেখা গেছে, ৩৪ শতাংশ নারী মানসিক চাপের কারণে নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। একই জরিপে দেখা গেছে ৯০ শতাংশ লোক রাতে টিভি দেখেন এবং ৬৩ শতাংশ লোক ঘুমানোর একঘণ্টা আগে বই পড়েন। সমস্যা হলো, যখন আপনি ঘুমানোর আগে টিভি দেখেন বা বই পড়েন তখন আপনার মনের মধ্যে উদ্দীপনাকর ক্রিয়া ঘটতে থাকে অথচ সে মুহূর্তে আপনার শান্ত থাকা উচিত। ঘুমের সময়ে মস্তিষ্ক যদি উত্তেজিত থাকে, ঘুম না হবারই কথা। তাই সুন্দর ঘুমের জন্য কী করবেন আপনি? স্রেফ নিচের নিয়মগুলো মেনে চলুন-
শোবার ঘরকে সুরক্ষা দিন
আপনার শোবার ঘরকে ঘুমের জন্যই বরাদ্দ করুন, খাওয়া, টিভি দেখা কিংবা কাজ করার জন্য নয়। বিছানায় মানসিক চাপপূর্ণ কার্যক্রম পরিহার করুন। মনে রাখবেন এটা আপনার শুধু বিশ্রাম নেবার ও ঘুমোনোর জায়গা। বিছানাটাকে সেভাবেই সাজাবেন ।
দিবা নিদ্রা পরিহার করুন
দিবা নিদ্রা আপনার স্বাভাবিক ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, তাই দিবা নিদ্রা পরিহার করুন। নিজেকে এই শিক্ষা দিন যে ঘুম হলো কেবল রাতের কাজ।
ঘুমের ওষুধ পরিহার করুন
অনেকে সুন্দর ঘুমের জন্য নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খান। কিন্তু ঘুমের ওষুধ আপনাকে ওষুধের প্রতি নির্ভরশীল করে তুলবে এবং কারণে আপনি আর স্বাভাবিক ভাবে ঘুমোতে পারবেন না ।
তাছাড়া ঘুমের ওষুধের সেবনের ফলে সকাল বেলা আপনার মাথা ভার ভার লাগবে, ম্যাজম্যাজ করবে শরীর।
কোনো কাজে সম্পূর্ণ মন বসাতে পারবেন না। তাই ঘুমের ওষুধ পরিহার করে স্বাভাবিক ভাবে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। আর, ঘুমানোর একঘণ্টা আগে অন্তত চা বা কফি পান করবেন না।
গভীরভাবে শ্বাস নিন
এটাই পারে আপনাকে শান্তিময় ঘুমের মধ্যে টেনে নিয়ে যেতে। বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে পড় ন। ঘরের সমস্ত বাতি নিভিয়ে দিন। তারপর শ্বাস নিন গভীর ভাবে। সমস্ত শরীর শিথিল করে নিন। চিন্তায় কোনো উদ্বেগ আনবেন না। মাথা থেকে সমস্ত চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। শুধু গভীর শ্বাস নিন। দেখবেন কখন ঘুমিয়ে পড়েছেন নিজেই জানেন না।