নির্ধারিত বক্তৃতার পূর্ব প্রস্তুতি - preparation of lecture
15:27:42 12/09/2023
নির্ধারিত বক্তৃতার পূর্ব প্রস্তুতি : বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বক্তৃতার বিষয় সম্পর্কে বক্তা আগে থেকেই অবগত থাকেন। বক্তৃতার লক্ষ্য উদ্দেশ্য, বিষয় এবং এর সাথে সম্পৃক্ত সবকিছু সময়ের পূর্বেই সুনির্দিষ্ট হয়। যখন এরকম নির্ধারিত বক্তৃতা দেওয়া হয়, তখন পূর্ব হতেই প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। যেমন ধরুন, আপনার বক্তৃতার বিষয় ইলমে দ্বীনের গুরুত্ব ও ফযীলত, তখন আপনি হযরত মাওলানা আহমদ আলী লাহোরী (র.) কৃত আল-কুরআনের বিষয়ভিত্তিক সূচীপত্র দেখুন। এটি না পাওয়া গেলে আল-কুরআনের বিষয়ভিত্তিক আয়াত হাফেয মাওলানা শহীদুল ইসলামের কিতাবটি দেখুন।
গভীরভাবে মুতায়ালা করুন। ইলমে দ্বীনের গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের কোন কোন সূরায় কী কী কথা বলা হয়েছে তার মধ্য হতে আপনার পছন্দমত দু'চারটি আয়াত লিখে নিন। অতঃপর বিস্তারিত সম্ভব না হলে তাফসীরে শাইখুল হিন্দ, বয়ানুল কুরআন বা মাআরিফুল কুরআন এর কোন একটি খুলে আয়াতগুলো বের করুন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অনুধাবন করার চেষ্টা করুন ও আকর্ষণীয়, চুম্বক অংশগুলো খাতায় নোট করুন।
অতঃপর মিশকাত শরীফ, রিয়াদুস্ সালেহীন, ফয়যুল কালাম, মা'আরিফুল হাদীস বা হাদীসের কিতাবসমূহের মাঝে সহজলভ্য একটি হাদীসের কিতাব খুলে মুতায়ালা করুন। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর বাণীগুলো লিপিবদ্ধ করুন। অবশ্য আয়াতের তাফসীরের ক্ষেত্রে তাফসীরে দুররে মানসূর ও ইবনে কাসীরের সহযোগিতা নিলে নির্ধারিত একটি হাদীসের অংশ আপনার চোখের সামনে চলে আসবে। এখন আপনার কাছে তথ্যের একটি সমাহার দেখবেন।
তাই একটি চমকপ্রদ বক্তৃতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিন। নিম্নে প্রস্তুতির কয়েকটি টিপস্ তুলে ধরা হলো-
১. সর্বপ্রথম কাজ হবে রুজু ইলাল্লাহ্। প্রার্থণা করুন, হে আল্লাহ! ইখলাসের সাথে, আপনার রেখা মোতাবেক ও সুন্নত অনুযায়ী এমন কিছু কথা বলার তাওফীক দান করুন, যাতে আপনার দ্বীনের ও বান্দাদের উপকার হয়।
২. বক্তৃতার বিষয় শ্রোতা, পরিবেশ ও বক্তৃতার গুরুত্ব ভালভাবে চিন্তা করে নিন।
৩. এ বক্তৃতার মাধ্যমে আপনি শ্রোতাদের কোন লক্ষ্যে পৌঁছাতে চান এবং কী ধারণা দিতে চান? তা ভালভাবে উপলব্ধি করুন।
৪. পড়ালেখা করতে হবে, প্রয়োজনীয় তথ্য, রেফারেন্স ও আপনার দৃষ্টান্ত সংগ্রহ করতে হবে।
৫. গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো নোট করতে হবে। লিখিত বক্তব্য পেশ করতে হলে বক্তৃতা খসড়া তৈরী করতে হবে। ঘরে বসে পরীক্ষামূলক বক্তৃতা দিতে হবে। এভাবে মজবুত মানসিক দৃঢ়তা, প্রবল ইচ্ছা শক্তি, পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি এবং চমৎকার আয়োজন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ও প্রফুল্ল মনে মঞ্চে উঠতে হবে। আপনার উপস্থিতি অনুপম ও আকর্ষণীয় করতে হবে।
৬. আপনার বক্তৃতা সুন্দর হোক ও লোকেরা আপনার প্রশংসা করুক এ মনোভাব না নিয়ে লোকেরা আপনার বক্তৃতা বুঝুক এ মনোভাব নিয়ে বক্তৃতা করলে আপনার বক্তৃতা অত্যন্ত সুন্দর ও গ্রহণীয় হবে ।