আদম (আ) এর কাহিনীতে শিক্ষামূলক কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

অন্যান্য

আদম (আ) এর কাহিনীতে শিক্ষামূলক কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: হযরত আদম (আ) এর ঘটনায় শিক্ষা ও উপদেশূলক এত বেশি কথাবার্তা ও বিষয়াদি রয়েছে, যার বিস্তারিত বর্ণনা এই পরিসরে সম্ভব নয় তাই নিচে শুধু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করা হচ্ছে।

(১) আল্লাহ তায়ালার ইলম ও বিজ্ঞতার রহস্য এতই অসীম কোন ব্যক্তি বা সত্তা আল্লাহর ষতই নৈকট্যই অর্জন করূক না কেন, এসব রহস্য রহস্য সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। এ হেতু ফেরেশতারা আল্লাহর অতি নিকটে থাকা সত্ত্বেও আদম (আ) এর খেলাফতের রহস্য বুঝতে পারেনি। আর যতক্ষণ না বিষয়টি পুরাপুরি হাকী‘কত ভেত তাদের সামনে প্রতিভাত হয়েছিল, ততক্ষণ তারা অনন্ত বিস্ময়ের মধ্যে হাবু ডুবু খাচ্ছিলো।

(২) আল্লাহ তাআলা কৃপাদৃষ্টি কোন নগণ্য বস্তুর উপর পড়লেও সে বস্তুটি যারপর নাই উচ্চ মর্তবা সম্পন্ন হয়ে উঠে। এক মুষ্টি মৃত্তিকা দিকে তাকান অতপর খলীফাতুল্লাহ পদের গুরুত্ব ও মর্তবার কথা চিন্তা করুন, অতঃপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করুন নবুওত ও রিসালাত পদের প্রতি, দেখবেন আল্লাহর অগণিত অনুগ্রহ লাভ করার ফলে ঐ এক মুষ্টি মাটি কিভাবে স্তরে স্তরে এগিয়ে গিয়ে কত উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

(৩) অপরাধী হওয়া সত্ত্বেও যদি মানুষের অন্তর তাওবা ও অনুশোচনার প্রতি ঝুঁকে পড়ে তাহলে তার জন্য আর রুদ্ধ থাকে না আল্লাহর রহমতে দরজা। আল্লাহর দরবারে পৌঁছতে গিয়ে তাকে আর পতিত হতে হয় না নৈরাশ্যের অমানিশায়। তবে এ জন্য শর্ত হলো আন্তরিকতা ও একনিষ্ঠতা। হযরত আদম (আ) এর সামনে, তার ভুল ও পদস্থলন সত্বেও আল্লাহ তাআলা তার করুণা ও মাফীর যে দরজা খুলে দিয়েছিলেন সে দরজা তার বংশধরের জন্য এখনো খোলা রয়েছে। ঘোষণা করে দাও আমার এই কথা, হে আমার বান্দাগণ । তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করেছ-আল্লাহর অনগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না, আল্লাহ সমুদয় গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল পরম দয়ালু । (সূরাঃ ঝুমার, আয়াতঃ৫৩)

তথ্য কনিকাঃ (সূরা বাক্বারাহঃ আয়াত ঃ২১,২৩,৩৪,ও৩৭,সূরা আলে ইমরানঃ আয়াতঃ ২৩ও ৫৯, সূরা আল মায়েদাহঃ আয়াতঃ ৩৭, সূরাহ আল আ‘রাফঃ আয়াতঃ ১১, ২৬, ২৭, ২৯, ৩১, ৩৫, ও ১৭২, সূরা ইসরাঃ আয়াতঃ ৬১, ও ৭০, সূরা আল কাহাফঃ আয়াতঃ ৫০, সূরা মারইয়ামঃ আয়াতঃ ৫৮, সূরা ত্বয়াহাঃ আয়াতঃ ১১৫, ১১৬, ১১৭, ১২০,ও ১২১,সূরা ইয়াসিনঃ আয়াতঃ৬০)

গোপন মাসাআলা

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল

Leave a Reply