উচ্চ রক্তচাপ হলে করণীয় কী?

উচ্চ রক্তচাপ হলে করণীয় কী? দীর্ঘস্থায়ী রাগী মানুষদের মধ্যে অনেকেই ঘুমের মধ্যেও স্বাভাবিক হতে পারেন না। গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত যেসব লোক দিনের বেলা রাগে ফুঁসতে থাকেন, রাতে ঘুমের মধ্যেও তাদের রক্তচাপ অনেক বেশি থাকে আর এটা তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

আমেরিকান জার্নাল অব হাইপার টেনশন-এ প্রকাশিত এক গবেষণায়, গবেষকরা ৩২ জন উচ্চ রক্তচাপের নারী-পুরুষের ২৪ ঘণ্টার রক্তচাপ লক্ষ্য করেন। এদের রাগ বাড়ানোর জন্য গবেষকরা এদের ওপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করেন। গবেষকরা দেখেন যে,

বেশি ও সবচেয়ে কম রাগান্বিত ব্যক্তির মধ্যে রক্তচাপের স্বতন্ত্র পার্থক্য ফুটে ওঠেছে। ঘুমের মধ্যে রাগান্বিত ব্যক্তির সিস্টোলিক রক্তচাপ (ওপরের সংখ্যা) গড়ে ১৩১ মিমি অব মার্কারি থাকে, যা অন্যদের চেয়ে ১১ ডিগ্রি বেশি। উপরন্তু, উচ্চ রক্তচাপের এসব রাগী ব্যক্তিদের রক্তচাপ ঘুমের মধ্যেও স্বাভাবিক হয়নি, যার ফলে সারারাত এদের হৃৎপিণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। এটা হৃৎপিণ্ডে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে এবং হার্ট অ্যাটাক ঘটায়।

কম রাগী ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপজনিত ভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যদিও ঘুমের মধ্যে তাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার প্রথম ঘণ্টায় রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যায়-এটার হার থাকে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন গুণ বেশি। এ ধরনের উপসর্গের সাথে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যাবার সম্পর্ক রয়েছে।

ঐসব গবেষণায় দৃষ্ট ফলে উপদেশ দেয়া হয়েছে যে, ঘড়ির কাঁটার সাথে সামঞ্জস্য রেখে রক্তচাপের তারতম্য হওয়া উচিত। যদি আপনি উচ্চ রক্তচাপের কোনো ওষুধ গ্রহণ করতে থাকেন, তাহলে আপনার চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করে জেনে নিন ওটা কখন গ্রহণ করবেন— ওটা সমানভাবে দিনে ও রাতে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে কিনা।

আর যদি আপনার নিজের মধ্যে রাগ খুব বেশি থাকে, তাহলে আপনার মানসিকজনিত পরামর্শের প্রয়োজন রয়েছে। রাগ কমানোর জন্য একই সাথে আপনাকে শিথিলায়ন পদ্ধতি কিংবা নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে। কেবল তাহলেই আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং আপনি ভালো থাকবেন।

হৃদরোগ থেকে বাঁচার উপায়

কিডনি রোগের লক্ষণ ও করণীয়

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল

Leave a Comment