কেয়ামত কখন সংঘটিত হবে? : কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার বিষয়ে আল্লাহ তাআ’লা বুলেছেন : “বরং কেয়ামত তাদের কাছে হঠাৎ উপস্থিত হবে এবং তাদেরকে জ্ঞানহারা করবে। তখন তা প্রতিহত করার ক্ষমতা তাদের থাকবে না। এবং তাদেরকে (ঈমান আনার জন্য) কোন অবকাশও দেয়া হবে না !” —সূরা আম্বিয়া-৩য় রুকু।
এ আয়াত এবং এর পূর্ববর্তী আয়াত দ্বারা প্রমাণ হয় যে, কেয়ামত হবে হঠাৎ। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, কেয়ামত এমন অবস্থায় সংঘটিত হবে যে, তখন মানুষ ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য কাপড় খুলে দেখাশুনা করতে থাকবে। তখনো তা ক্রয় বিক্রয়ের ব্যাপারটি চূড়ান্ত করে কাপড় ভাঁজ করতে পারেনি। ইতিমধ্যে হঠাৎ কেয়ামত সংঘটিত হবে। অতঃপর নবী করীম (সঃ) বলেন, কেয়ামত অবশ্যই এমন অবস্থায় হবে যে, এক লোক তার উটের দুধ দোহন করে ফিরতে থাকবে, কিন্তু এখনও তা পান করেনি।
কেয়ামত এমন অবস্থায় অনুষ্ঠিত হবে যে, মানুষ তার হাউজ মেরামত করতে থাকবে, কিন্তু এখনো পশুগুলোকে পানি পান করাতে পারেনি। এমন অবস্থায় হঠাৎ কেয়ামত সংঘটিত হবে যে, মানুষ আহারের জন্য গ্রাস তুলবে কিন্তু তখনও তা মুখে নিতে পারেনি। —বোখারী মুসলিম, মেশকাত ।
অর্থাৎ বর্তমান যুগে মানুষ কাজ কারবারে খুবই ব্যস্ত থাকে। এমনিভাবে কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার দিনেও মানুষ দৈনন্দিন কাজ-কারবারের মধ্যে খুব ব্যস্ত থাকবে, তখন হঠাৎ কেয়ামত সংঘটিত হবে।
যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিনটি হবে শুক্রবার। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হচ্ছে জুমআ’র দিন। এ দিনেই হযরত আদম (আ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এ দিনই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করান হয়েছে, এ দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। আর এ জুমআ’র দিনই কেয়ামত সংঘটিত হবে। —মুসলিম, মেশকাত।
আর এক হাদীসে আছে; রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, জুমআ’র দিনই কেয়ামত সংঘটিত হবে। আল্লাহ তাআ’লার নিকটবর্তী প্রত্যেক ফেরেশতা এবং নভমণ্ডল ভূমণ্ডল, পাহাড়-পর্বত ও সমুদ্র এরা সবই জুমআ’র দিনকে ভয় করে । কারণ তারা মনে করে, হয়ত আজই কেয়ামত হয় নাকি। —ইবনে মাজাহ ।