কোর্টম্যারেজ এবং অনৈসলামিক আদালতের বিবাহ

কোর্টম্যারেজ এবং অনৈসলামিক আদালতের বিবাহ

বাংলাদেশে কখনো কখনোে এমন অনেক ঘটনা ঘটে ( তবে ভারতে অনেক এমন ঘটনা ঘটে ) যে, ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই অনৈসলামিক আদালতে গিয়ে আদালতের মাধ্যমে রেস্ট্রি বিবাহ করে।  অনৈসলামিক আদালতের মাধ্যমে বিবাহ করলে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তা শুদ্ধ হবে না; 

বরং ছেলে মেয়ে উভয়েই একে অপরের জন্য আগে যেমন অবৈধ ছিল কোর্ট ম্যারেজ এর পরেও একজন আরেকজনের জন্য তেমনি অবৈধ থাকবে এমতাবস্থায় একজন আরেকজনের সাথে স্বামী-স্ত্রী আচরণ করা যেনা এবং হারাম কাজ করা হবে। (সারকথা ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়া ৫/১৪৯)

তবে যদি বিবাহের ইযাব কবুলের (প্রস্তাব-গ্রহণ) সময় দুইজন মুসলিম সাক্ষী সেখানে উপস্থিত থাকে তাহলে বিবাহ সহিহ্ শুদ্ধ হবে।

অনৈসলামিক আদালতের দেওয়া তালাক

অনেক সময় স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মিল না হওয়ার কারণে, স্ত্রী স্বামীর কাছে তালাক চায় কিন্তু স্বামী তালাক দিতে রাজি হয় না। অবশেষে স্ত্রী আদালতে গিয়ে কেস (মুকাদ্দামা) করে এবং সেখান থেকে স্বামীর বিপক্ষে তালাক নেয়।

আদালতের দেয়া তালাক দুই ধরনের-

এক. যদি তালাক এর ফয়সালাদাতা মুনসেফ ও জজ মুসলমান হন এবং তিনি শরীয়তের বিধান মোতাবেক ফয়সালা দেন; তাহলে শরীয়তে তার ফয়সালা গ্রহণযোগ্য হবে এবং তালাক পতিত হবে। আর যদি মুসলমান বিচারক তালাকের ফয়সালা শরীয়তের বিধান মোতাবেক না করেন, তাহলে তার ফয়সালা গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তালাক পতিত হবেনা।

অমুসলিম জজের ফায়সালা

দুই. কোন অমুসলিম জজ্ (বিচারক) যদি তালাক বা অন্য কোন শরয়ী বিধানের ফয়সালা দেয়, তাহলে ইসলামী শরীয়তের বিধনি অনুযায়ী তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এবং স্ত্রীর উপর অমুসলিম জজের তালাকের ফয়সালার কারণে তালাক পতিত হবে না। আর স্ত্রী স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না। এমাসআলাটি হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ ফতুয়ার কিতাব শামীতে নিম্ন ভাষায় বর্ণিত হয়েছে। অর্থ: মুসলমানের উপর অমুসলিমদের ফয়সালা চলবে না।

কেমন নারীকে বিবাহ করা উচিত

মুখের ব্রণ দূর করার সহজ উপায়

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল

Leave a Comment