থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইসলাম

৩১ শে ডিসেম্বর রাতের অর্থাৎ রাত বারোটার আগে অল্প কিছু সময় এবং তার পরের দিন নতুন বছর জানুয়ারি মাসের ১ তারিখের প্রথম কয়েকটি ঘন্টা এটাই হচ্ছে থার্টিফার্স্ট নাইটের উদযাপনের মূল সময়। প্রথমত এটি একটি পশ্চিমা দেশীয় সংস্কৃতি যা বর্জনীয় এবং পরিত্যাজ্য বলে মনে করেন সুদিজনেরা। দ্বিতীয় থার্টিফার্স্ট নাইটে অপরিমিত এবং অনিয়ন্ত্রিত উল্লাসের একটা ব্যাপার ঘটে তরুণ-তরুণী যুবক-যুবতী দের মধ্যে। যেখান থেকে অনেক ধরনের দুর্ঘটনা এবং বিশৃঙ্খলা উশৃংখলতার সূত্রপাত ঘটে এটাও দেখা যায় এখানে।

তৃতীয় থার্টিফার্স্ট নাইটে ব্যাপকভাবে যারা মদ্যপানে অভ্যস্ত তারা সহ এমন বহু তরুন-তরুনীর মদ্যপান এর অভিষেক ঘটে যারা এর আগে কখনোই মদ্যপানের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিলনা। চতুর্থত নারী পুরুষ এবং যুবক-যুবতীদের অবাধ মেলামেশার ক্ষেত্র তৈরি করা হয় এই রাতে। বিভিন্ন হোটেলে ক্যাম্পাসে রাস্তাঘাটে এটা খুব ব্যপক ভাবে দেখা যায়। যেটা ইসলামী সংস্কৃতির সঙ্গে এর কোন মিল নেই।

থার্টিফার্স্ট নাইটে মানুষ বেপরোয়া হয়ে ওঠে। অশ্লীলতা, মদ্যপান, বেহায়াপনা এ ধরনের নানা কর্মকাণ্ড ঘটে। যার ফলে সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। এমনকি ইসলামিক কালচারের সাথে এর কোন মিল নেই। অবশ্যই এটি পশ্চিমা সভ্যতা, ইউরোপীয় সভ্যতা, বিজাতিদের সভ্যতা ইসলাম কখনই সমর্থন করে না। নবীজী (স.) বলেন যে ব্যক্তি যে জাতির সাথে সামঞ্জস্য রাখে, কেয়ামতের দিন তাদের সাথে তার হাশর-নাশর হবে।

সুতরাং একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের কর্তব্য হলো, আমাদের ইসলামী কালচার অনুসরণ করা এবং বিধর্মীদের কালচার অনুসরণ না করা। আল্লাহ আমাদের প্রকৃত মুসলিম হওয়ার তৌফিক দান করুন এবং অশ্লীল অসৎ কাজ থেকে হেফাজত করুন।

আবু হুরায়রা (রা.) এর জীবনী

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)

আনাস ইবনে মালেক (রা.) এর জীবনী

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল

1 thought on “থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইসলাম”

Leave a Comment