মুসলমানদের প্রতি ইহুদিদের সীমালঙ্ঘন

মুসলমানদের প্রতি ইহুদিদের সীমালঙ্ঘন : মদীনাতে ইসলাম সুস্থিতি লাভ করল। কুরাইশরা বুঝতে পারল এখন ইসলাম ধীরে ধীরে কেবল উন্নতির পথেই অগ্রসর হবে। দিন যত যাবে। ইসলামের শক্তি সামর্থ্য ঠিক তত বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু অবস্থা যদি এমন হয়, তবে তো সমস্ত কর্তৃত্বের লাগাম তাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে। তখন সেই হয়ে পড়বে সমস্ত ক্ষমতা আর নেতৃত্বের কেন্দ্রবিন্দু। আর তখন তাকে বাগ মানানোর কোনো পথই খোলা থাকবে না।

এ সকল বিষয় চিন্তা করে তারা ইসলাম আর মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ আর দুশমনির আরেক নতুন পর্ব শুরু করল। সবদিক থেকেই তাদের বিরুদ্ধে চেঁচাতে লাগল । কিন্তু আল্লাহ তাআলা মুসলমানদেরকে সবর আর ধৈর্যের নির্দেশ দিলেন। তাদেরকে বলে দিলেন, তোমরা তোমাদের হাত নিবৃত্ত রাখো আর নামায কায়েম করো। যাতে করে জীবন আর যিন্দিগির সমস্ত স্বাদ- বিস্বাদ তাদের কাছে মামুলী হয়ে যায়। নফসের বিরোধিতা করে আনুগত্যের ওপর অটল থাকা সহজ হয়।

যুদ্ধের অনুমতি

কিন্তু ধীরে ধীরে যখন কাঁটা আরও বিষাক্ত হয়ে উঠতে লাগল। শত্রুতা যখন তার সমস্ত মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে লাগল, তখন আল্লাহ তাআলা মুসলমানদেরকে যুদ্ধের অনুমতি দিয়ে দিলেন। কিন্তু এটা তখনো তাদের ওপর ফরয করা

হলো না । ইরশাদ হলো:

অর্থাৎ যুদ্ধে অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে যাদের সাথে কাফেররা যুদ্ধ করে; কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম। [ সূরা হজ্জ্বঃ ৩৯]

আবু হুরায়রা (রা.) এর জীবনী

দীর্ঘ সময় সহবাস করার উপায় ও কৌশল

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল

Leave a Comment