সুস্থতার জন্য হাসির উপকার : নানা রকম হাসির কথা বা কৌতুক শুনে আমরা হাসি। আবার অনেক কাণ্ড দেখেও খুব হাসি পায়। আমাদের মাঝে অনেকে আছেন যারা খুব হাসিখুশি থাকেন। কিন্তু কেউ কেউ আবার বেশ গোমড়া মুখ করে থাকেন । অথচ চিকিৎসক যদি তাদেরকে প্রেসক্রিপশন লিখে দেন যে “হাসতে হবে’? ব্যাপারটা শুনতে একটু যদিও অদ্ভুত, কিন্তু সত্যি। হাসি এখন একটি ওষুধ । বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে দেখা গেছে যে হাসলে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, পেশি সাংকোচন ও প্রসারণ ঘটে ।
১৯৯৭ সালে এক গবেষণা করা হয়। যে গবেষণায় ৪৮ জন হার্ট অ্যাটাকের রোগী ছিলেন। তাদের মাঝে ২৪ জনকে প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাসির নাটক দেখানো হতো। বাকিদের তা দেখানো হতো না। এক বছর পর দেখা গেল যারা নাটক দেখতেন না তাদের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। আর যারা হাসির নাটক দেখতেন তাদের থেকে মাত্র দুজন পুনরায় হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা আরো বলেন যে হাসি হচ্ছে মানসিক চাপের জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিষেধক। মানসিক চাপের বা Stress-এর জন্য শরীরে যেসব Stress হরমোন তৈরি হয় তা থেকে অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন হতে পারে যা, মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে সক্ষম। অথচ হাসির নাটক বা সিনেমা দেখার পর পরিমাপ করে দেখা গেছে যে এসব Stress হরমোনের মাত্রা শরীরে কমে গেছে। কিন্তু সাধারণত আমরা হৃদরোগীদের এসব ক্ষেত্রে বিটা ব্লকার জাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকি। বলতে গেলে হাসি এসব ক্ষেত্রে বিটা ব্লকারের কাজ করছে।
এছাড়া দেখা গেছে মজার ও কুরআন তেলাওয়াত, ইসলামী গান অসুস্থ শিশুদের ক্ষেত্রে নানাভাবে কাজ করে। উৎযুগ্ম হাসি-খুশি মন তাদেরকে কিছুটা সময় নিজেদের ব্যথা-বেদনা ভুলিয়ে রাখে। কঠিন বাস্তবতার তাগিদে আমরা হাসতে ভুলে যাই । কিন্তু সুস্থতার জন্য হাসি অপরিহার্য। শারীরিক অসুস্থতা, মানসিক চাপ দূরে রাখতে বা দূর-করতে আমাদের দরকার হাসি-আনন্দে দিন যাপন করা।