শিয়ারা কত দলে বিভক্ত? - Sia Koy dole Bivokto
11:59:44 06/16/2024
শিয়ারা কত দলে বিভক্ত? শীআদের দল-উপদল সমূহঃ
শীআদের প্রথমতঃ তিনটি দল ।
১. তাফযীলিয়া শীআ। এরা হযরত আলী (রাঃ) কে শায়খঅইনের উপর ফযীলত দিয়ে থাকেন ।
২. সাবইয়্যা শীআ। এদেরকে তাবরিয়া ও বলা হয়। এরা হযরত সালমান ফারসী, আবূ জর গিফারী , মেকদাদ ও আম্মার ইবনে ইয়াছিন প্রমুখ অল্প সংখ্যক সাহাবী ব্যতীত অন্য সকল সাহাবী থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে, এমনকি তাঁদেরকে মুনাফেক এবং কাফের পর্যন্ত বলে।
৩.গুলাত বা চরমপন্থী শীআ। এদের কতক হযরত আলী (রাঃ) এর খোদা হওয়ার প্রবক্তা ছিল। আর কতক মনে করত খোদা তাঁর মধ্যে প্রবেশ করেছেন অর্থাৎ, তিনি ছিলেন খোদার অবতার বা খোদার প্রকাশ।
শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে পার্থক্য কি? শিয়ারা কি কাফের?
(পূর্ববতী পৃষ্ঠার টীকা) তাহা হোসাইন ও তার নামক গ্রন্থে আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা নামের কোন ঐতিহাসিক ব্যক্তির অস্তিত্ব থাকার ব্যাপারে সন্দেহ ব্যক্ত করেছেন । অথচ মুসলমানদের সর্বজন বিদিত শত্রু সার উিইলিয়াম ম্যূরের ন্যায় ব্যক্তিও আব্দুল্লাহ ইবনে সাবার কথা স্বীকার করেছেন । প্রসিদ্ধ শীআ ঐতিাসিক মুহাম্মাদ হাছান ইবনে মূসাও অনুরূপ স্বীকুতি দিয়েছেন। শীআদের নিকট নির্ভরযোগ্য গ্রন্থেও তার কথা স্বীকার করা হয়েছে।
১. কুচত্রিু সেন্ট পলও খৃষ্টানদের মধ্যে হযরত ঈসা (আঃ) সম্বন্ধে এরূপ আকীদার শিক্ষা দিয়েছিল। বংশগতভাবে সেও ছিল ইয়াহুদী । তারা ইয়াহুদী নাম ছিল সাউল ।
২.কিতাবুর রওযায় ইমাম বাকের থেকে রেওয়ায়েত আছে-(পরবর্তী পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য)
গুলাত বা চরমপন্থী শীআদের ২৪ টি উপদল ছিল। যাদের একটি দল ছিল ইমামিআ । এই ইমামিয়া ছিল শীআদের একটি বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ট দল। সাবইয়্যাদের ছিল৩৯ টি উপদল। ইমামিয়া দলের মধ্যে প্রধান ও প্রসিদ্ধ হল ৩টি উপদল।
যথাঃ
১.ইছনা আশারিয়া।
২.ইসমাঈলিয়া ।
৩.যায়দিয়া।
ইছনা আশারিয়া
শীআদের উপরোক্ত ৩টি উপদলের মধ্যে ইছনা আশারিয়া (বার ইমামপন্থী)
শীআদের অস্তিত্বই প্রবল। এদেরকে ইমামিয়া ও বলা হয়। বর্তমানে ইছনা আশারিয়াএবং ইমামিয়া নাম দুটো প্রায় সমার্থবোধকে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক কলে সাধারণভাবে শীআ বলতে এই ইছনা আশারিয়া বা ইমামিয়া শীআদেরকে বোঝানো হয়ে থাকে। তাদেরকেই শীআ বলা হয়। শীআদের মধ্যে সবচেয়ে এদের সংখ্যাই অধিক। উপমহাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র তাদের অনসারী রয়েছে। বর্তমান ইরানে তারাই ক্ষমতাসীন। ইরাকেও প্রচুর সংখ্যক এরূপ শীআ রয়েছে। নিম্নে তাদের বিশেষ কিছু আকীদা-বিশ্বাসের উল্লেখ করা হল।
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ওফাতের পর তিনজন বাদে সকলেই মুরতাদ হয়ে যায়। (রাবী বলেনঃ) আমি আরয করলামঃ সেই তিনজন কে? ইমাম বলেলনঃ মেকদাদ ইবনুল আসওয়াদ, আবূ যর গফারী ও সালমান ফারসী । তাঁদের প্রতি আল্লাহর রহমত ও বরকত নাযিল হোক।
১.শীআদের এসব দল ও তাদের তাফসীলী আকায়েদ সম্বন্ধে বিস্তারিত জানার জন্য দেখা যেতে পারে।
২.আমরা অত্র গ্রন্থে ইছনা আশারিয়াদের যেসব আকীদা-বিশ্বাসের কথঅ উল্লেখ করেছি, বর্তমান ইরানের শীআগণ সে-ই ইছনা আশারিয়া এবং তারা সেসব আকীদাই পোষণ করে থাকেন । তারা যে এই ইছনা আশারিয়া এবং তাদের আকীদা-বিশ্বাসও যে এগুলো, তার জাজ্জ্বল্যমান প্রমাণ হল রুহুল্লাহ খোমেনী-র লিখিত বই-পত্র ।
উল্লেখ্যঃ রুহুল্লাহ খোমেনী সাহেব একাধারে ইছনা আশারিয়া পন্থী আলেম ও ইরানের বর্তমান শীআদের সর্বজনমান্য ধর্মীয় নেতা ও প্রন্থকার । তিনি গ্রন্থদ্বয়ে ইছনা আশারিয়া শীআদের প্রসিদ্ধ আকীদা তথা ইমামত , সাহাবা বিদ্বেষ ও কুরআন বিকৃতি বিষয়ে হুবহু সেই আকীদা-বিশ্বাসহিসেবে আমরা অত্র গ্রন্থে তুলে ধরেছি। সংক্ষিপ্তভাবে এর প্রমাণের জন্য মাওলানা মানযূর নোমানী রচিত ইরানী ইনকিলাব গ্রন্থখানা দেখা যেতে পারে।
৩.তদের অধিকাংশ আকীদা উল্লেখ করা হয়েছে থেখে। (পরবর্তী পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য)