Narrow selection

সালাতুত্ তাসবীহ নামাযের ফযীলত


05:44:03 12/03/2023

সালাতুত্ তাসবীহ নামাযের ফযীলত : যাবতীয় নফল নামায়ের মাঝে এর ফযীলত অনেক বেশি। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস [রাঃ] বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃ] বলেছেন, চাচাজান ! অতি মূল্যবান একটি আমলের কথা আপনাকে বলছি, যা পালন করলে আপানর আগের পরের নতুন-পুরাতন, ইচ্ছাকৃত,অনিচ্ছাকৃত ছোট-বড়, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দিবেন।

চার রাকাত “সালাতুত তাসবীহ” এর নামায এভাবে পড়বেন, প্রথমে সূরা ফাতেহা ও অন্য যে কোন সূরা পড়ার পর দাঁড়ানো অবস্থায়ই রুকুর পূর্বে নিম্নের দোয়টি

মুসাফিরের নামাযের নিয়ম

পনের বার পড়বেন। তারপর রুকুতে দশবার তারপর রুকু থেকে দাঁড়িয়ে ১০ বার তারপর সিজদায় দশবার তারপর দুই সেজদার মাঝে বসা অবস্থায় ১০ বার তারপর দ্বিতীয় সিজদায় ১০ বার তারপর সিজদা থেকে উঠে বসে ১০ বার বলবেন। এভাবে চার রাকাত পড়বেন। প্রত্যেক রাকাতে '৭৫ বার হবে সর্বমোট ৩০০ বার হবে]। দোয়াটি হচ্ছে-

سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله اكبر.

সম্ভব হলে প্রতি দিন একবার এ নামায পড়ুন। তা সম্ভব না হলে সপ্তাহে একবার, তা সম্ভব না হলে মাসে একবার, তা সম্ভব না হলে বছরে একবার, তাও সম্ভব না হলে জীবনে অন্ততঃ একবার অবশ্যই পড়ুন । [ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ, তিরমিযি]

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস [রাঃ] প্রতি শুক্রবারে এবং তাবেয়ী আবুল জাওয়া [রহঃ] প্রতি দিন জোহরের জামাতের পূর্বে এ নামায পড়তেন। হযরত আব্দুল আযীয ইবনে আবী রাদ্দাদ [রহঃ] বলতেন, যার জান্নাতের প্রয়োজন রযেছে সে যেন সালাতুস তাসবীহ আঁকড়ে ধরে। আবু উসমান হাইরী [রহঃ] বলতেন, বিপদ পেরেশানী থেকে মুক্তির জন্য সালাতুস্ তাসবীহের চেয়ে উত্তম কিছু আমি পাইনি ।

নিয়ত : আমি মহান আল্লাহর ওয়াস্তে কিবলামুখী হয়ে চার রাকাত নফল সালাতুত তাসবীহের নিয়ত করছি। আল্লাহু আকবার ।

সালাতুত তাসবীহর জরুরী মাসআলা :-

মাসআলা :- এ নামাযের জন্য কোন সূরা নির্দিষ্ট নেই। যে কোন সূরা ইচ্ছা পড়তে পারে। কোন কোন রিওয়ায়েতে রয়েছে যে, বিশ আয়াতের মত পাঠ করবে।

মাসআলা :- তাসবীহের সংখ্যা মুখে গণনা করলে নামায ভেঙ্গে যাবে। তদ্রূপ আঙ্গুল বন্ধ করে বা তাসবীহ দ্বারা গণনা করা মাকরূহ। বরং আঙ্গুল স্ব-স্থানেই রেখে এক একটি করে আঙ্গুল চাপ দিতে থাকবে।

মাসআলা: কোন রুকনে তাসবীহ পড়তে ভুলে গেলে পরবর্তী রুকনে তা পুরণ করে নিবে। তবে রুকু থেকে দাঁড়িয়ে, দু' সিজদার মাঝে এবং প্রথম ও তৃতীয় রাকাতের পর বসা অবস্থায় পূর্ববর্তী রুকনের বুলে যাওয়া তাসবীহের কাযা আদায় করবে না?। বরং [এ রুকনগুলোতে তার নিজস্ব তাসবীহ দশবার পড়ে] এর পরবর্তী রুকনে ভুলে যাওয়া তাসবীহ আদায় করে নিবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : [এক] মাকরূহ সময় ছাড়া অন্য যে কোন সময় এ নামায আদায় করা যায়। তবে সূর্য হেলার পর জোহরের পূর্বে পড়া উত্তম কেননা, একটি রেওয়ায়েতে সেদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

দুই : কোন কোন রিওয়ায়েতে উপরোক্ত দোয়ার সাথে আরো বাড়িয়ে পড়ার কথাও উল্লেখ আছে। যেমন :

سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله و الله اكبر ولا حول ولا

قوة إِلَّا بِاللهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ

তিন: দ্বিতীয় ও চতুর্থ রাকাতে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পূর্বে উক্ত কালিমা দশবার পড়ে নিবে। আর রুকু ও সিজদাতে প্রথমে রুকু সিজদার তাসবীহ পড়ে নিবে, তারপর উক্ত কালিমা পড়বে।

চার: এ নামায পড়ার আর একটি পদ্ধতি এ যে, প্রথম রাকাতে ছানা পড়ার পর সূরায়ে ফাতেহা পড়ার পূর্বে উক্ত কালিমা পনের বার পড়বে এবং সূরায়ে ফাতেহা ও অন্য সূরা পড়ার পর দশ বার পড়বে। অন্য সব “নিয়ম পূর্বের মতই। তবে এ পদ্ধতিতে প্রত্যেক রাকাতেই দ্বিতীয় সিজদার পর বসে আর দশবার পড়ার প্রয়োজন নেই। [কেননা এতে প্রত্যেক রাকাতে দ্বিতীয় সিজদা পর্যন্তই পঁচাত্তুর বার হয়ে যাবে।

ওয়ামায়ে কেরাম লিখেছেন, উভয় নিয়মেই আমল করা উত্তম। ইমাম আবু হানীফার শাগরিদ ও ইমাম বুখারীর উস্তাদের উস্তাদ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক শেষোক্ত পদ্ধতিতেই পড়তেন।

মাসআলা : কোন কারণে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হলে তাতে উক্ত তাসবীহ পড়বে না। অবশ্য ভুলে কোন রুকনের তাসবীহ অনাদায় থেকে গেলে সেগুলো আদায় করে নিবে।


No comments yet


Leave a comment

 


Name *:



Design theme color

Primary color


Alternative color