তাহিয়্যাতুল ওযু নামাযের ফযীলত
05:52:37 12/03/2023
তাহিয়্যাতুল ওযু নামাযের ফযীলত : হযরত আবু হুরায়রাহ [রাঃ] হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃ] ফজরের নামাযের সময় বেলাল [রাঃ]-কে বললেন, হে বেলাল ! বলতো, মুসলমান হয়ে সর্বাধিক আশা সঞ্চারকারী কি আমল তুমি করেছো। কেননা, জান্নাতে আমার সম্মুখে তোমার জুতার আওয়াজ শুনেছি। বেলাল [রাঃ] বললেন, অধিক আশা সঞ্চারকারী তেমন কোন আমল আমি করিনি, তবে দিনে বা রাত্রে ওযু করার পর তাওফীক অনুযায়ী কিছু না কিছু নফল নামায পড়ে থাকি।” [বুখারী]
অপর এক হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি ফরয, সুন্নত ও মুস্তাহাব এর প্রতি লক্ষ্য রেখে ভালভাবে ওযু করবে অতঃপর দেহ ও মনের একাগ্রতার সাথে দু'রাকাত নফল নামায পড়বে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। [মুসলিম শরীফ]
অন্য রেওয়ায়েত মতে হযরত বেলালের উত্তর শুনে আল্লাহর রাসূল ইরশাদ করেছেন, এ আমলের কারণেই তুমি এ ফযীলত লাভ করেছো। যদিও মাসয়ালা মতে ওযুর পরে যে কোন ফরয বা সুন্নত নামায পড়লে তাহিয়্যাতুল ওযুর সাওয়াব পাওয়া যায়। যেমন, মসজিদে গিয়ে বসার পূর্বে যে কোন নামায পড়লেই তাহিয়্যাতুল মসজিদের সওয়াব পাওয়া যায়। কিন্তু আলোচ্য হাদীসের বর্ণনাভঙ্গী দ্বারা এটা বোঝা যায় যে, একাগ্রতার সাথে আলাদাভাবেই তাহিয়্যাতুল ওযুর নামায পড়া উচিত ।
তবে বিশেষভাবে খেয়াল রাখবে যে, সেটা যেন হারাম বা মাকরূহ সময় না হয়। যেমন, সূর্য হেলে পড়ার সময় এবং সূর্যোদয়ের পর একটু উপরে উঠা পর্যন্ত কোন নামায পড়া জায়েয নেই। তদ্রূপ আসরের নামাযের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নফল নামায পড়া মাকরূহ। কাজেই এ সময়গুলোতে তাহিয়্যাতুল ওযুর নামায পড়বে না।
নবী- রাসূলদের স্বপ্ন যেহেতু অভ্রান্ত সত্য, সেহেতু আলোচ্য হাদীসে হযরত বেলাল [রাঃ] এর অতি উচ্চ মর্যাদার জান্নাতী হওয়ার প্রমাণ বহন করে । হযরত বেলাল [রাঃ] মহান আল্লাহর রাসূলের বিশেষ খাদেম ছিলেন। সুতরাং খিদমতের প্রয়োজনে তাঁকে কখনো রাসূলুল্লাহ [সাঃ] এর আগে চলতে হতো। এ আগে চলা তার শ্রেষ্ঠত্বের কারণে নয় বরং খেদমতের প্রয়োজনে। আলোচ্য স্বপ্নে সে অবস্থাই দৃষ্ট হয়েছে। [ফাতহুলবারী]