তাড়াহুড়া করে নামায পড়ার ক্ষতি
06:20:27 12/03/2023
তাড়াহুড়া করে নামায পড়ার ক্ষতি
নামাযের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য এই যে, নামাযের সময় সূরা কেরাত, রুকু সেজদা, উঠা-বসা ইত্যাদির মাধ্যমে শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মহান আল্লাহর নির্দেশের অনুগত হয় এবং তাঁর ইবাদতে মশগুল হয়ে যায়। সুতরাং একজন নিষ্ঠাবান নামাযীর সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নামাযের বাইরেও মহান আল্লাহর অনুগত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই ইরশাদ হয়েছে :
إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَ الْمُنْكَرِ .
অর্থাৎ “নিশ্চয়ই নামায অশ্লীল এবং অশুভ কাজ থেকে বিরত রাখে।”
হাদীস শরীফে অসময়ে তাড়াহুড়ার সাথে নামায আদায় সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এটা মুনাফিকের নামায। এরা অলসতা করে সূর্য ডুবার অপেক্ষায় থাকে। সূর্য যখন ডুবু ডুবু হয় তখন মুরগীর মত দু' চারটি ঠোকর মারে। তাড়াহুড়ার সাথে রুকু সিজদা করে, তাতে মহান আল্লাহর স্মরণ খুব কমই হয়।
নারীদের প্রতি নামাযের বিশেষ তাকীদ হযরত আনাস [রাঃ] হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ [সাঃ] বলেছেন, স্ত্রীলোক যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায সঠিকভাবে আদায় করে, রমযান শরীফের রোযা রাখে, লজ্জাস্থানের হেফাযত করে এবং স্বামীর অনুগত থাকে, তাহলে সে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করবে।” [আবু নাঈম, হিদয়াতুল আওলিয়া]
আলোচ্য হাদীসে মুসলিম নারীদেরকে চারটি কর্তব্য পালনের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। এর বিনিময়ে নারীদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে । কাজেই প্রত্যেক মুসলিম নারীর এ ব্যাপারে বিশেষ যত্নবান হওয়া একান্ত আবশ্যক ।
দায়িত্ব চারটি নিনম্নরূপ
প্রথম দায়িত্ব
পাঁচ ওয়াক্ত নামায যথাযথ আদায় করা। বস্তুতঃ নামায কোন অবস্থাতেই মাফ নেই। ঘরে-বাইরে, রোগে-শোকে, বিপদে-আপদে, সর্বাবস্থায় প্রত্যেক বালেগ মুসলমান নর-নারীর উপর নামায আদায় করা ফরয। অবশ্য নারীদের ক্ষেত্রে মাসিকের দিনগুলোতে নামায মাফ হয়ে যায়। এবং নিষিদ্ধ থাকে, পবিত্র হয়েও ছুটে যাওয়া নামায কাযা করতে হয় না।
আফসোসের বিষয়, মহান আল্লাহর নাফরমানিতে সমাজের এত অধঃপতন আজ ঘটেছে যে, অনেক মুসলিম পরিবার এমনও রয়েছে যে, যেখানে নামায তো দূরের কথা, মহান আল্লাহর নামও হয়ত উচ্চারিত হয় না । ঘরে ঘরে গান-বাজনা, ভিডিও ছবি ও বেপর্দা বেহায়াপনার আগুন জ্বলছে। তাই সমাজে মহান আল্লাহর আযাব গজব নেমে আসছে।