তালাক মোজায় মাসেহ কতিপয় মাসায়েল সম্পর্কে আকীদা 

কতিপয় মাসায়েল সম্বন্ধে আকীদা 

সফর এবং একামত সর্বাবস্থায় মোজায় মাসেহ করা জায়েয। হাসান বসরী (রহঃ) বলেনঃ আমার নিকট সত্তর জন সাহাবী মোজায় মাসেহ করা সম্পর্কে রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবুল হাসান কারখী (রহঃ) বলেন,যে ব্যাক্তি মোজায় মাসেহ করাকে জায়েয মনে করে না ,আমি তার কাফের হয়ে যাওয়ার আশংকা বোধ করি। মোজায় মাসেহ করাকে জায়েয মনে করা আহলে হকের আলামতের মধ্যে গণ্য করা হয়েছে। 

জমহুরের অনুসরণ করা ওয়াজিব । জমহুর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ধ্বংস্তাক পদক্ষেপ । 

এক শব্দে তিন তালাককে তিন তালাকই গণনা করা হবে, এ ব্যাপারে ইজমা‘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ব্যাপারে কুরআন, হাদীছ ,ইজমা ও কিয়াস শরী‘আতের এই চার ধরনের দলীল মওজূদ রয়েছে। 

সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা সমূহ ফরয সমূহ ফরয সমূহের পরিপূরক

জুমুআয় খুতবা দেয়া ফরয । খতবা আরবীতেই হতে হবে তা কুরআন থেকেই বোঝা যায়। কেননা কুরআনে খতবাকে যিকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর যিকর একমাত্র আরবীতেই হয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,

অর্থাৎ, তোমরা আল্লাহর যিকরের দিকে দ্রুত অগ্রসর হও । (সূরাঃ ৬২-জুমুআঃ৯) অধিকাংশ  মুফাসসিবের মতে এখানে যিকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর সমর্থন পাওয়া যায় মুসলিম ও তিরমিযী শরীফে বর্ণিত হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) –এর একটি দীর্ঘ রেওয়ায়েতে যার মধ্যে বলা হয়েছে,

অর্থাৎ, যখন ইমাম বের হন তখন ফেরেশতাগণ যিকর শ্রবণ করার জন্য উপস্থিত হন। এ হাদীছেও খুতবাকে যিকর বলে ব্যক্ত করা হয়েছে। 

কোন মুসলমানকে হত্যা করা জায়েয নয় ,যদি সংগত কারণ দেখানা দেয় । সংগত কারণ যেমন বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ওযনা করা , কাউকে হত্যা করা, ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ করা প্রভৃতি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, 

অর্থাৎ, কোন মু‘মিনের জন্য কোন মু‘মিনকে হত্যা করা বৈধ নয়, তবে ভুলবশতঃ অবস্থার কথা ব্যতিক্রম। (সূরাঃ ৪-নিসাঃ ৯২)

হাদীছে এসেছে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

অর্থাৎ,যে মুসলমান ব্যক্তি এক আল্লাহ ও আমার রসূল হওয়ার সাক্ষ্য দেয়,তাকে হত্যা করা জায়েয নয় তবে তিনটির যে কানণেঃ

  1. বিবাহিত যেনাকারী
  2. জানের বদলে জানও
  3. স্বধর্ম ত্যাগকারী জামা‘আত থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি । (তিরমিযী)

সূদ (-এর সর্বপ্রকার) হারাম। এ ব্যাপারে কুরআনের স্পষ্ট ভাষ্য রয়েছে। 

এতদসত্ত্বেও যে সূদ  জায়েয হওয়ার ফতওয়া দিবে সে নিজে গোমরাহ এবং অন্যকে গোমরাহকারী।

নেককার বা বদকার সকলের জানাযা পড়তে হবে। যদি সে আহলে কিবলা এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে । নবী কারীম (সাঃ) বলেছেনঃ

অর্থাৎ , নেককার বদকার সকলের পিছনে জানাযা নামায পড়। এ হাদীছে আলোকে কাফের মুশরিক ব্যতীত সব ধরনের পাপীর জানাযা পড়ানো থেকে বিরত থাকবেন লোকদের তাম্বীহ হওয়ার জন্য। এরুপ ক্ষেত্রে ছোটখাট কোন আলেম উক্ত জানাযার ইমামত করাবেন। 

প্রয়োজনে যাদু শিক্ষা দেয়া কুফরী নয়। বরং কুফরী হল যাদুতে বিশ্বাস করা এবং তদনুযায়ী আমল করা। হারুত ও মারুত ফেরেশতাদ্বয় প্রয়োজনে মানষকে যাদু শিক্ষা দিয়েছিলেন। সাথে সাথে তাতে বিশ্বাস ও তদনুযায়ী আমল করতে নিষেধও করেছিলেন। কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, 

অর্থাৎ, তারা কাউকে  শিক্ষা দিতনা এ কথা না বলে যে, আমরা পরীক্ষা । অতএব তোমরা কুফরী কর না। (সূরাঃ ২-বাকারাঃ ১০২) 

সালাফে সালেহীন –এর সমালোচনা করা সত্য পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার পথ রচনা করে । সালাফে সালেহীনের ভাল আলোচনা করাই হকপন্থীদের অনুসৃত নীতি। 

মক্কা মুকাররমা এবং মদীনা মুনাওয়ারা দুটি পবিত্র ভূমি । তার সমতুল্য কোন ভূমি নেই । অনন্তর জমহুরের মতে মদীনা মুনাওয়ারার তুলনায় মক্কা অধিক মর্যাদা রাখে।

তালাক মোজায় মাসেহ কতিপয়

যৌন তত্ত্ব

গোপন মাসাআলা

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল

Leave a Comment