নামাজের ওয়াজিব সমূহ নামাজের মধ্যে ওয়াজিব ১৪টি

নামাজের মাসআলা

নামাজের ওয়াজিব সমূহ:

নামাজে ভুলবশত কোন ওয়াজিব ছুটে গেলে নামাজ শেষে সেজদায়ে সাহু করলে নামাজ হয়ে যায়। তবে ইচ্ছাকৃত ওয়াজিব তরক করলে নামায পুনরায় পড়তে হবে।

সাহু সেজদা করার নিয়ম: আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পর ডান দিকে সালাম ফিরাবে। তারপর দুটি সিজদা দেবে অতঃপর আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরাবে।

নামাজের ওয়াজিব ১৪টি:

১। আলহামদু শরীফ সম্পূর্ণ পড়া।

২। সূরা ফাতিহার পর যেকোনো একটি সূরা মিলানো। অথবা তিন আয়াত পরা, অথবা ১আয়াত তিন আয়াত সমপরিমাণ পড়া।

৩। রুকু সিজদায় দেরি করা।

৪। রুকু হতে সোজা হয়ে খাড়া হয়ে দেরি করা।

৫। দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসে দেরি করা।

৬। চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ হলে, প্রথম দুই রাকাতের পর বৈঠক করা।

৭। দোন বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়া।

৮। ইমামের জন্য কেরাত আস্তে এবং জোরে পড়া। (অর্থাৎ ফজর মাগরিব এশার নামাজে কেরাত জোরে পড়তে হবে। আর যোহর ও আসরের নামাজে কেরাত আস্তে পড়া ওয়াজিব।

৯। বিতরের নামাজে দোয়ায়ে কুনুত পড়া।

১০। দুই ঈদের নামাজে ছয় ছয় তাকবীর বলা। অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের ও ঈদুল আজহায় দু’রাকাত নামায পড়া ওয়াজিব। প্রথম রাকাতে ছানা পড়ার পর তিনবার তাকবীর বলা এবং দ্বিতীয় রাকাতে রুকুতে যাওয়ার পূর্বে তিনবার তাকবীর বলা ওয়াজিব।

১১। প্রত্যেক ফরজ নামাযের প্রথম দুই রাকাতকে কেরাতের জন্য নির্ধারিত করা।

১২। প্রত্যেক রাকাতের ফরজ গুলির তারতিব (ধারাবাহিক ঠিক রাখা

১৩। প্রত্যেক রাকাতের ফরজ গুলির তারতিব (ধারাবাহিক ঠিক রাখা

১৪। আসসালামুয়ালাইকুম বলে নামাজ শেষ করা।

নামাযের মধ্যে রয়েছে ফরজ, ওয়াজিব এবং সুন্নতসমূহ ইচ্ছাকৃত হোক অথবা ভুলবশত হোক ফরজ ছুটে গেলে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। নতুন করে নামাজ আদায় করতে হবে। আর ওয়াজিব ছুটে গেলে সাহু সিজদা দিলে নামাজ আদায় হয়ে যায়। আর সুন্নাত ছুটে গেলে প্রয়োজন নেই।নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

নামাজ সংক্রান্ত মাসলা-মাসায়েল জানতে নামাজের মাসআলা ক্যাটাগরিতে ক্লিক করে আপনি নিয়মিত মাসলা-মাসায়েল পড়তে পারবেন।

ইসলামী জীবন

অন্য ভাষায় ট্রানস্লেট করুন

নামাজের ওয়াজিব সমূহ

Leave a Reply