স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায় কী?

স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায় কী? : যেহেতু স্ট্রোকের পরে রোগীর সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম থাকে তাই স্ট্রোক প্রতিরোধ করাই চিকিৎসার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। কিছু নিয়ম মেনে চললে স্ট্রোকের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সহজ।

১. ধূমপান পরিহার করতে হবে: গবেষণায় দেখা গেছে ধূমপায়ীদের স্ট্রোকের ঘটনা অধূমপায়ীদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। সিগারেটের নিকোটিন রক্তনালীর ব্যাপক ক্ষতি করে।

২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন: উচ্চ রক্তচাপ রক্তনালিকে দুর্বল করে, ক্ষয়প্রাপ্ত করে, রক্তনালির গায়ে রক্ত জমাট বাধার কাজে সহযোগিতা করে এবং রক্তনালি ছিঁড়ে যেতে বাধ্য করে। 

৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন ডায়াবেটিস হলে অবশ্যই রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রক্তের অতিরিক্ত শর্করা রক্তনালি ক্ষয় করে তাকে দুর্বল করে দেয়। 

৪. এলকোহল পরিহার করুন দেখা গেছে এলকোহল সেবীদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই ঝুঁকি কমাতে আপনাকে অবশ্যই এলকোহল বর্জন করতে হবে। 

৫. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন : চর্বিজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে আপনি পুরোপুরি নিরামিষভোজী হয়ে যান। গবেষণায় দেখা গেছে নিরামিষভোজীদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি শতকরা ২২ ভাগ কম। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাকসব্জি, ফলমূল তথা আঁশজাতীয় খাবার রাখুন।

৬. ওজন কমান : যাদের পেটে অথিরিক্ত মেদ রয়েছে স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা তাদের অনেক বেশি। সুতরাং আপনাকে অবশ্যই ওজন কমাতে হবে। এই ওজন কমাবেন বয়স এবং উচ্চতার সঙ্গে সামঞ্জ্য রেখে।

৭. প্রতিদিন ব্যায়াম করুন : প্রতিদিন ব্যায়াম করলে রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাধতে পারে না । মাত্র ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়ামই স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে যথেষ্ট।

৮. এসপিরিন সেবন করুন : যাদের হৃদরোগ আছে কিংবা ট্রানজিয়েন্ট ইসকেমিক অ্যাটাক-এর ইতিহাস আছে তারা প্রতিদিন স্বল্পমাত্রায় (৭৫ মিগ্রা) এসপিরিন সেবন করুন। এতে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যাবে।

নারীদের হার্ট অ্যাটাক কম হয়!

সাধারণভাবে আমরা প্রায়ই বলে থাকি যে, নারীদের হার্ট অ্যাটাক হয় না বা কম হয়। কথাটি অনেকাংশেই সত্য। নারীদের হরমোন অর্থাৎ ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন তাদেরকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। কিন্তু মদ্যপান বা ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। বংশে হৃদরোগের ইতিহাস, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের কারণেও কিছুটা ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তারপরেও নারীদের হরমোন তাদের হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে।

কিন্তু রজঃনিবৃত্তি বা মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে যায়। তাই মেনোপজের পর বা মাসিক বন্ধ হওয়ার পর নারীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মেনোপজের পর তাই নারীদের হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নিতে পারেন। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, সুষম খাদ্য গ্রহণ ও চেকআপের মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক থেকে রেহাই পেতে পারেন।

স্ট্রোক এড়াবেন কীভাবে

হৃদরোগ থেকে বাঁচার উপায়

কিডনি রোগের লক্ষণ ও করণীয়

আমাদের ইউটিউব ইউটিব চ্যানেল

Leave a Comment