আক্বীকার করার নিয়ম ও মাসআলা - Akika Korar Niom
14:05:15 06/12/2024
আক্বীকার করার নিয়ম ও মাসআলা
আক্বীকার বরকত
বাচ্চার পক্ষ থেকে আক্বীকা করলে বাচ্চা সব ধরনের বিপদ-আপদ এবং দুর্ঘটনা থেকে নিরাপত থোকে। যে বাচ্চার পক্ষ থেকে সঠিক ভাবে আক্বীকা করা হয় সে বাচ্চা সুস্থ ও ভাল থাকে।
(সারকথা: ফতাওয়ায়ে রহীমিয়া ২ / ৯০)
আক্বীকার সুন্নাত তরীকা
আক্বীকার সুন্নত তরীকা হল ঃ বাচ্চার জন্মের পর তার সুন্দর একটি নাম রাখতে হবে এবং সপ্তম দিনে উদাহরণ স্বরূপ ঃ যদি বৃহস্পতিবার বাচ্চার জন্ম হয় ; তাহলে বুধবার, আশুক্রবার জন্ম হলে বৃহস্পতিবার, কুরবানীর জানোয়ারের মত পূর্ণ এক বছরের একটা ছাগল যবেহ করবে। যবেহের পর তার (বাচ্চা) মাথা ন্যাড়া করে দেবে।
(সারকথাঃ তিরমিযী ১/ ২৭৮, ফাতহুল বারী ৯ /৫৯০,শামী ৬/৩৩৬)
আক্বীকা কোন দিন করা সুন্নাত?
আক্বীকা জন্মের সপ্তম দিনে করা সুন্নাত। কিন্ত যদি কোনো ওজরের (অসুবিধা) কারনে সপÍম দিনে করতে না পারে ; তাহলে একুশতম দিনে অবশ্যই করা উচিৎ। কেননা, যেমনি আক্বীকা করা সুন্নাত, তেমনি নির্ধারিত দিনে করাও সুন্নাত। সুতরাং একুশতম দিনের পরেও দেরী করলে আক্বীকা নির্ধারিত দিনে করলে যে সওয়াব পাওয়া যেত, তা থেকে বঞ্চিত থাকবে। তখন শুধু আক্বীকার বোঝা ঘাড় থেকে সরবে।
(সারকথা: ফাতহুল বারী ৯/৫৯৪)
আক্বীকায় ছেলে সন্তানের জন্যে দুটো ছাগল
যদি আল্লাহ তাআলা কাউকে সচ্ছলদাতা দিয়ে থাকেন ; তাহলে তার জন্য সুন্নাত হলঃ ছেলের পক্ষ থেকে দুটো ছাগল। যবেহ করবে। আর মেয়ের পক্ষ থেকে একটা ছাগল।
(তিরমিযী ১/২৭৮, ফাতহুল বারী ৯ /৫৯২)
আর যদি কোনো ব্যক্তি অসচ্ছল হয়ে থাকে; তাহলে তার জন্যে ছেলের পক্ষ থেকে একটা ছাগল যবাহ করলেও সুন্নাত আদায় হবে। নবীজী (সঃ)হযরত হাসান (রাঃ) এর পক্ষ থেকে একটা ছাগল যবেহ করেছিলেন। (তিরমিযী ১ /২৭৮)
ছেলের আক্বীকায় ছাগল (বকরা) আর মেয়ের আক্বীকায় ছাগলী (বকরী)
কিছু মানুষ এরকম মনে করে যে, ছেলের আক্বীকায় ছাগল (বকরা) আর মেয়ের আক্বীকায় ছাগলী (বকরী) যবেহ করা উচিৎ। এ কথার কোনো ভিওি নেই; বরং ছেলের আক্বীকায় ছাগলী (বকরী) এবং মেয়ের আক্বীকায় ছাগল (বকরা) যবেহ করলেও নিঃসন্দেহে সুন্নাত আদায় হবে। (তিরমিযী ১/২৭৮, ফাতহুল বারী ৯/৫৯২)
সাবালেগ ও বয়স্ক ব্যক্তির আক্বীকা
শৈশবে যদি কোনো ব্যক্তির আক্বীকা না হয়ে থাকে ; তাহলে সাবালেগ হওয়ার পর তার আক্বীকা করা যেতে পারে এবং আক্বীকার যে বোঝা তার ঘাড়ে ছিল, তা নেমে যাবে। কিন্ত এক্ষেএেও সাত সংখ্যার দিকে খেয়াল রাখা ভাল। যেমন সাত বছর, চৌদ্দ বছর, একুশ বছর। কিন্ত এদিকে লক্ষ্য রাখতে গেলে যদি দেরী হয়ে যায়; তাহলে ওদিকে লক্ষ্য রাখা ছাড়াই যত তাড়াতাড়ী সম্ভব আক্বীকা করে ফেলবে।
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. এর জীবনী