হযরত নূহ (আঃ) এ জাহাজ নির্মাণ - Nooh Nabir Jahaz Nirman
হযরত নূহ (আঃ) এ জাহাজ নির্মাণ
আল্লাহ তাআলা হযরত নূহের ফরিযাদ গ্রহণ করলেন এবং তার নির্ধারিত কর্মের প্রতিফল প্রদানের নীতি অনুযায়ী এই সীমালংঘনকারীদের সীমালংঘনের শাস্তি ঘোষণা করলেন। প্রথমে সতর্কতামূলক ভাবে হযরত নূহ (আ) কে একটি জাহাজ তৈরির নির্দেশ দেয়া হলো, যাতে বাহ্যিক কার্য কারণের প্রেক্ষিতে তিনি এবং আল্লাহতে বিশ্বাসী দাসরা অবাধ্যদের উপর আপতিত শাস্তি থেকে নিজেদের হেফাজত করতে পারে না আল্লাহর নির্দেশে যখন নূহ (আ) জাহাজ তৈরি করা আরম্ভ করলেন তখন অবিশ্বাসীরা তা নিয়ে হাসাহাসি শুরু করে দিল। যখন তারা এদিক দিয়ে যে তখন রসিকতা চড়ে রক্ষা পাবে? কী আহাম্মকি খেয়ালরে বাবা। হযরত নূহ (আ) তাদের এই হাসাহাসির প্রতি কোন গুরুত্ব না দিয়ে নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। কেননা আল্লাহ তাআলা পূর্বাহ্নেই তাকে আসল অবস্থা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়াছিলেন।
তুমি আমার তত্ত্বাবধানে আমার অহী বা প্রত্যাদেশ অনুযায়ী নৌকা তৈরি কর এবং যারা সীমা লঙ্ঘন করেছে তাদের সম্পর্কে তুমি আমাকে কিছু বলো না, তারা তো নিমজ্জিত হরে। (সূরাঃ হুদ আয়াতঃ ৩৬)
শেষ পর্যন্ত হযরত নূহ (আ)-এর জাহাজ তৈরি হয়ে গেল। এই সাথে এসে গেল আল্লাহর আযাব অবতীর্ণ হওয়ার সময়। হযরত নূহ (আ) প্রথমে সেই চিহ্নটি প্রত্যক্ষ করলেন যার কথা তাকে ইতিপূর্বে জানান হয়েছিল। অর্থাঃ ভূমির তলদেশ থেকে পানির ফোঁয়ারা উঠতে লাগলো। তখন অহীর মাধ্যমে নূহকে নির্দেশ দেয়া হলো, তুমি তোমার সংসার পরিজনকে জাহাজে আরোহণ করতে বল, প্রত্যেক জাতের প্রাণীর এক একটি জোড়াকেও তাতে আশ্রয় দাও এবং সেই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী (আনুমানিক ৪০ জন) যারা তোমার উপর ইমান এনেছে তাদেরকেও আরোহণ করতে বলা।
যখন আল্লাহর হুকুম আনুযায়ী সব কাজ সম্পন্ন হল তখন আকাশকে বৃষ্টিবর্ষণের এবং জমিকে ফোঁয়ারা উদগীরণের নির্দেশ দেওয়া হল।
যখন আল্লাহর হুকুমে সব কিছু-ঘটে গেল তখন তাঁরই রক্ষণাবেক্ষনে জাহাজটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পানির উপর ভাসতে থাকলো। সত্য প্রত্যাখ্যানকারী দুরাচারীরা পানিতে ডুবে মারা এবং নিজেদের দুস্কর্মের সেই প্রতিফল ভোগ করলো, যার প্রতিফল প্রদানের রীতি অনুযায়ী আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছিলেন।
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. এর জীবনী