Abdullah Ibne Abaas er Jiboni
14:19:54 06/03/2024
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)
নাম : আব্দুল্লাহ
উপাধি: হিবরুল উম্মাহ
পিতার নাম: আব্বাস
মাতার নাম: উম্মুল ফজল লুবাবা বিনতে হারেস
তার মা ছিলেন রাসুলুল্লাহ (স.) এর স্ত্রী উম্মুল মুমিনীন হযরত মায়মুনা (রা.) এর বোন। তিনি কুরাইশ গোত্রের হাশেমী শাখার সন্তান ছিলেন। হিজরতের তিন বছর পূর্বে শিয়াবে আবু তালিবে আটক থাকা অবস্থায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। রসুলুল্লাহ (স.) ইন্তেকালের সময় তার বয়স হয়েছিল ১৩ -১৫ বছর।
জ্ঞানের গভীরতা: রাসুলুল্লাহ (স) তার জন্য দ্বীনি ইলম হেকমত ও তাফসীর বিষয়ে গভীর পাণ্ডিত্য লাভের দোয়া করে বলেছিলেন হে আল্লাহ আপনি তাকে দ্বীনি এলেম ও তাফসীর শাস্ত্রে জ্ঞান দান করুন। এই দোয়ার বরকতে তিনি ইলমে ফিকাহ অর্জনের পাশাপাশি রইসুল মুফাসসিরীন উপাধিতে ভূষিত হন। তাঁর জ্ঞানের গভীরতা দরুন তাকে ’হিবরুল উম্মাহ্’ বা জ্ঞানের সমুদ্র বলা হয়।
প্রসিদ্ধ তাবেঈ হযরত মাসরুক রাহিমাহুল্লাহ বলেন। আমি যখন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে দেখতাম তখন মনে মনে বলতাম, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) সবচেয়ে সুন্দর ব্যক্তি। তিনি যখন কথা বলতেন তখন ধারনা করতাম বাক্যালংকার এবং বিশুদ্ধ ভাষায় তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। আর যখন তিনি হাদিস বর্ণনা করতেন তখন মনে হতো তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ আলেম ও জ্ঞানী।
হযরত মুহাম্মাদ বলেন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস তিনজন মহান ব্যক্তি থেকে ইলম অর্জন করেছেন ১. হযরত ওমর (রা.) ২. হযরত আলী (রা.) হযরত উবাই ইবনে কাআব (রা.)।
গুণাবলী : ইবনে আব্বাস (রা.) হযরত ওমর ফারুক প্রিয়ভাজন ছিলেন। জরুরী কোন বিষয়ে পরামর্শ সভা আহবান করলে সেখানে তাকেও ডাকতেন। হযরত ওমর তার সম্পর্কে বলতেন, তিনি তরুণ প্রবীণ। অর্থাৎ বয়সে তরুণ কিন্তু জ্ঞানে প্রবীণ। তিনি হাদিস, তাফসির, ফিক্হ, গণিত, ফারায়েজ, আরবি সাহিত্য, ইতিহাস প্রভৃতি শাস্ত্রে গভীর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অধিক হাদীস বর্ণনাকারীদের মধ্যে তিনি একজন।
তার বর্ণিত হাদিস সংখ্যা : আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এর বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা ১৬৬০টি। ইমাম বুখারী ও মুসলিম যৌথভাবে ৯৫টি, এককভাবে ইমাম বুখারী ১২০টি এবং ইমাম মুসলিম রহ ৪৯টি হাদিস বর্ণনা করেছেন।
মৃত্যু : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) এর শাসনামলে (একমাল গ্রন্থাগার) এর মতে ৬৮ হিজরীতে তায়েফ নগরীতে তিনি ইন্তেকাল করেন। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর