আবদুল্লাহ ইবনে ওমর - Abdullah ibne omorer Jiboni
01:09:08 06/03/2024
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)
নাম : আব্দুল্লাহ
উপনাম : আবু আব্দুর রহমান
উপাধি : রইসুল মুহাদ্দিসীন
পিতার নাম : ওমর ইবনুল খাত্তাব
মাতা : যয়নব বিনতে মাযউন। তিনি ছিলেন কুরাইশ বংশোদ্ভূত
জন্ম : তিনি রাসুলুল্লাহ (স.) এর নবুওয়াত লাভের এক বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন।
চরিত্র মাধূর্য : নরম স্বভাবের অধিকারী দুনিয়াবিমুখ এই মহান মনীষী ছিলেন একজন বড় আলেম, পরহেজগার এবং সুন্নাতে রাসূল (স.) এর অনুসারী। রাসুলের সুন্নত অনুকরণে তিনি ছিলেন বদ্ধপরিকর। সব বিষয়ে তিনি অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করতেন। হযরত মাইমুন ইবনে মেহরান বলেন, আমি ইবনে ওমর থেকে অধিক পরহেজগার এবং ইবনে আব্বাস থেকে অধিক জ্ঞানী কাউকে দেখিনি। হযরত নাফে বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) জীবদ্দশায় এক হাজারেরও বেশি দাস আজাদ করেছেন। মহৎ ও নিঃস্বার্থ চরিত্রের জন্য সর্বত্র তার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ছিল। খিলাফতের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি নিষ্ঠার সাথে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন।
হাদীস শাস্ত্রে তার অবদান : আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) ছিলেন অধিক হাদিস বর্ণনাকারীদের একজন। উম্মুল মুমিনীন হাফসা (রা.) তার বোন হওয়ায় রাসূলুল্লাহ (স.) এর সঙ্গে অধিক মিলিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। সেই সুবাদে তিনি বেশি হাদিস বর্ণনা করতে সক্ষম হয়েছেন। তার বর্ণিত হাদিস সংখ্যা ১৬৩০। ইমাম বুখারী ও মুসলিম (রা.)যৌথভাবে ১৭০টি হাদীস বর্ণনা করেছেন।
শাহাদত বরণ তখন হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এর শাসনামল ইবনে ওমর জুমার খুতবা প্রদান করলেন খুতবা দীর্ঘ করার কারণে হাজ্জাজের সঙ্গে তার মতবিরোধ হয়। এবং হজ্ব সংক্রান্ত বিষয় হাজ্জাজের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। ফলে হাজ্জাজ ইবনে ইউসূফ ইবনে ওমর এর প্রতি বৈরী মনোভাব পোষণ করে। এরই জের ধরে হাজ্জাজের নির্দেশে তার এক সিপাহী বিষ বিস্মৃত বর্ষা দ্বারা আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরের পায়ের পাতায় আঘাত করে। আঘাতের ক্রিয়ায় ৮৪ বা ৮৬ বছর বয়সে ৭৩ হিজরীতে তিনি শাহাদত বরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি হীল তথা হেরেমের বাইরে দাফন করার ওসিয়ত করে যান। কিন্তু হাজ্জাজের বিরোধিতার কারণে তাও সম্ভব হয়নি। অগত্যা জিতুয়া নামক স্থানে মুহাজিরদের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।